সংখ্যা কম হলেও দুর্গাপুজোর সরকারি অনুদান ফিরিয়েছেন বেশ কয়েকটি পুজো কমিটি। আর তার জেরে এবার বিদ্যুতে ভর্তুকি মিলবে না তাঁদের। এমন খবরই বাজারে ছড়িয়ে পড়েছে। আর দুর্গাপুজো কমিটিগুলি অনুদান ফিরিয়ে দিলেও বিদ্যুতের ভরꦬ্তুকি তাঁরা চান। অর্থাৎ ধরি মাছ না ছ൩ুঁই পানি গোছের পথ অবলম্বন করতে চাইছে দুর্গাপুজো কমিটিগুলি। আরজি কর হাসপাতালের ঘটনায় অনেকেই অনুদান প্রত্যাখ্যান করেছে। তার মধ্যে হুগলির কিছু দুর্গাপুজো কমিটি রয়েছে। এই দুর্গাপুজো কমিটিগুলির দাবি, সিইএসসি’র পক্ষ থেকে তাঁদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, রাজ্য সরকারের অনুদান ফিরিয়ে দেওয়ার জেরে বিদ্যুতের মাশুলে ছাড় মিলবে না।
এদিকে এই দুর্গাপুজো কমিটিগুলিকে সিইএসসি’র ধার্য করা বিল জমা দিতে হবে। সেটা বেশ চাপের। আবার একটা বেসরকারি সংস্থা সরকারি সাহায্য না নিলে বিদ্যুতে ছাড়💫 মিলবে না এমন বলতে পারে কি? উঠছে প্রশ্ন। যার উত্তর সিইএসসি থেকে মেলেনি। হুগলি জেলার কোন্নগরের মাস্টারপাড়া সার্বজনীন দুর্গোৎসবের কর্তাদের দাবি, সিইএসসি তাদের ফোন করেছিল। সেখানে বলা হয়, রাজ্য সরকারের অনুদান তারা নিচ্ছে না। তাই বিদ্যুতের ভর্তুকি মিলবে না। এই দুর্গাপুজো কমিটির পক্ষ থেকে স্বপন মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘আগেই বিদ্যুতের বিল বাবদ ১০১০ টাকা জমা দিয়েছিলাম। সেটা ছিল ছাড়–সহ। এখন আরও ৩০৩০ টাকা নগদে জমা দিতে বলা হয়েছে। অনলাইনে দেওয়া যাবে না।’
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর ছবি দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কুমন্তব্য, ধাক্কা খেয়ে কর্মীদের কড়া বার্তা দিল সিপিএম
বিদ্যুৎ সরবরাহ সংস্থা সিইএসসি এমন পদক্ষেপ করার ফলে চাপে পড়ে গিয়েছে পুজো কমিটিগুলি। কারণ একদিকে রাজ্য সরকারের ৮৫ হাজার টাকাও গেল। অপরদিকে বিদ্যুৎ ছাড়ও মিলল না। ফলে সাঁড়াশি চাপে পড়ে গিয়েছে অনুদান না নেওয়া দুর্গাপুজো কমিটিগুলি। এই বিষয়ে বৈদ্যবাটীর নবগ্রাম মহিলা মিলন চক্র পুজো কমিটিরও বক্তব্য, সিইএসসি ফোন করে বলেছে, অনুদান না নেওয়ায় বিদ্যুতে ভর্তুকি মিলবে না। তাই এবার তারা ভর্তুকি বাবদ ছাড়ের ১৫৭৯ টাকা জমা করেছে। আর উত্তরপাড়া আপনাদের দুর্গাপুজো কমিটির পক্ষ থেকে বাসুদেব হুঁইয়ের বক্তব্য, ‘আমরা♚ যখন সরকারি অনুদান ছেড়েছি তখন অন্য সুবিধার টাকাও নেব কেন? বিদ্যুতের খাতে ২১ হাজার টাকা ℱজমা করে দেব।’