দুর্গাপুজো আসতে আর হাতেগোনা ১৯ দিন বাকি। কিন্তু তার মধ্যেই রাস্তায় বসা হকার ভাইদের উপর কোপ পড়ল। এখন থেকেই রাস্তায় ⛄শপিং করার ভিড় তুঙ্গে উঠেছে। আর তাতেই বোঝা যাচ্ছে দুর্গাপুজোর সময় সেটা মারাত্মক আকার নেবে প্যান্ডেল হপিং করার সময়ে। তাই যাতে কোনওরকম যানজট বা ভিড়ে মানুষের সমস্যা না হয় তার জন্য প্রশাসন এখন থেকেই তৎপর হয়ে উঠেছে। এই ভিড় ঠেকাতে রাসবিহারী মোড়ের রাস্তায় দু’ধারে বসা হকারদের নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা পুলিশ। মেট্রো যাত্রীদের রাসবিহারীর ফুটপাথ ধরে যেতে যাতে অসুবিধা না হয় তার জꦫন্য বচ্চন ধাবার সামনে থেকে হকারদের সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা পুলিশ। দুর্গাপুজোর সময় রাসবিহারী মোড় থেকে দেশপ্রিয় পার্ক পর্যন্ত ভিড় ছাড়া কিছুই দেখা যায় না। এই ভিড়ের চাপ সামলাতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এই এলাকায় সব বড়🐽 বড় দুর্গাপুজো হয়। খোদ রাসবিহারীতে হয় বাদামতলা আষাঢ় সংঘের পুজো। আর একটু এগোলেই ৬৬ পল্লী এবং চেতলা অগ্রণীর পুজো। তারপর রাসবিহারী থেকে দেশপ্রিয় পার্কের দিকে এগোলেই দেশপ্রিয় পার্কের দুর্গাপুজো। যা অত্যন্ত জনপ্রিয়। আর একটু এগোলেই ত্রিধারা সম্মিলনীর পুজো। রাসবিহারী থেকে টালিগঞ্জ থানা পেরতেই মিলবে মুদিয়ালি ক্লাবের পুজো। ওই এলাকাতেই আছে শিব মন্দির এবং টিএন মজুমদারের দুর্গাপুজো। সুতরাং গোটা চত্ত্বর তুমুল ভিড়ে ঠাসা থাকে। এই ভিড় সামাল দেওয়া কার্যত কলকাতা পুলিশের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। ভিড় ঠেকাতে মেট্রো স্টেশনের ভিতরে মাইকে ঘোষণা করার পরিকল্পনা করেছে পুলিশ। মেট্রো স্টেশনের বাইরে বসানো হবে ব্যারিকেড। পুজোর সময় টিকিট কাউন্টারের সংখ্যা বাড়াতে মেট্রো কর্তৃপক্ষকেও অনুরোধ করবে কলকাতা পুলিশ।
আর কী পদক্ষেপ করবে পুলিশ? পুলিশ সূত্রে খবর, বচ্চন ধাবার সামনের মেট্রো স্টেশনের গেট দিয়ে ভিড় চেতলা অগ্রণী ও সুরুচি সংঘের দিকꦑে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে। আর লেক মার্কেটের দিকেও পাঠানো হবে যাঁরা দেশপ্রিয় পার্ক–সহ অন্যান্য পুজো দেখতে যাবেন। ভিড় সামাল দিতে যানবাহনের রুট পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ। বাসগুলির ক্ষেত্রে হাজরা এবং আলিপুর রোড হয়ে টালিগঞ্জ সার্কুলার ও দুর্গাপুর সেতু ধরে জয় হিন্দ সেতুর দিকে চলে যাবে। যান চলাচলের রুট বদলের সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গি নিয়ে রাজ্যকে চিঠি দিল কেন্দ্রীয় 🗹সরকার, সেখানে কোন বার্তা দেওয়া হয়েছে?
আর কী জানা যাচ্ছে? এগুলি ছাড়া বড় পুজো মণ্ডপগুলি থেকে গাড়ি পার্কিং করার জায়গা অনেকটা দূরে রাখা হবে। যাতে যানজট তৈরি না হয়। বাদামতলাꦦ আষাঢ় সংঘ ও ৬৬ পল্লির পুজো যাঁরা দেখতে আসবেন তাঁদের গাড়ি রাখতে হবে শ্যামপ্রসাদ মুখার্জি রোডের উপর পার্কিং স্পেসে। চেতলা অগ্রণী এবং সুরুচি সংঘের জন্য𓂃 গোবিন্দ আঢ্য রোডে গাড়ি পার্কিং করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আলিপুর রোডেও কিছু পার্কিং করার ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। ট্রাফিক ব্যবস্থা থেকে শুরু যান চলাচল—সব নিয়মেই ব্যাপক বদল আনা হচ্ছে কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে।