রেলের আইনে ট্রেন বা স্টেশন চত্বরে থুতু, আবর্জনা ফেলা অপরাধ। প্ল্যাটফর্মের বিভিন্ন জায়গায় তা লেখাও থাকে। তাছাড়া অন্যভাবেও যাত্রীদের এনিয়ে সচেতন করে থাকে রেল। কিন্তু, সেই নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে অনেকেই স্টেশন চত্বর এমনকী ট্রেনেও গুটখার পিক, থুতু বা আবর্জনা ফেলে থাকেন। এনিয়ে পদক্ষেপও করে থাকে রেল🤪। আর শুধু উৎসবের মরসুমে ♎এরকম অপরাধের জন্য কয়েক হাজার যাত্রীকে আটক করল আরপিএফ। তাদের কাছ থেকে আদায় হয়েছে ১৫ লাখ টাকারও বেশি জরিমানা।
আরও পড়ুন: ট্রেনে সংরক্ষিত আসনের টিকিট কাটার নিয়ম বদল আজ থেকে, আর আগেই যাঁরা ꦑকে🐻টেছিলেন…
রেলের তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, উৎসবের মরশুমে শুধু অক্টোবর মাসেই স্টেশন চত্বর, ট্রেনে ময়না-আবর্জনা, থুতু ফেলার জন্য পূর্ব রেলওয়ে মোট ১০,৪৭০ জনকে আটক করেছে। আর তাদের কাছ থেকে ১৫,৩৭,৯৬৫ টাকার জরিমানা আদায় করেছে রেল। গত মাসে দুর্গাপুজোর মরসুমের কথা মাথায় রেখে বেশ সংখ্যায় আরপিএফ মোতায়েন করে স্টেশন, ট্রেনগুলিতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছিল। সেই সময়কালে গত ১ থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত এই অভিযোগে এতজনকে আটক করা হয়। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আটক হয়েছে শিয়ালদা ডিভিশনে। ৪৬৬৬ জনকে আটক ক☂রা হয়েছিল। এছাড়া, হাওড়া ডিভিশনে ২৭৮৬ জন, আসানসোল ডিভিশনে ২৩০৪ জন এবং মালদা ডিভিশনে ৭১৪ জনকে রেলওয়ে চত্বরে আবর্জনা বা থুতু ফেলার জন্য আটক করা হয়।
অন্যদিকে, এবছর জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত সময়ে পূর্ব রেল♕ওয়ের আরপিএফ রেলওয়ে চত্বর অপরিচ্ছন্ন করার জন্য ১২,৯০০ জনকে আটক করেছিল। তাদের কাছ থেকে ১৭,৬৬,০১০ টাকা জরি๊মানা আদায় করা হয়েছিল। এর মধ্যে হাওড়া ডিভিশনে সবচেয়ে বেশি আটক হয়েছিল। এই ৪৯৫৮ জনকে আটক করা হয়। শিয়ালদা ডিভিশনে ২০২৩ জন, আসানসোল ডিভিশনে ২২১৪ জন এবং মালদা ডিভিশনে ৩৭০৪ জনকে আটক করা হয়েছিল।
রেলের তরফে যাত্রীদের সতর্ক করে বলা হচ্ছে, গুটখার পিক রেল চত্বরের যত্রতত্র ফেলা নিজের জন্য ক্ষতিকর তো বটেই, পাশাপাশি এই ধরণের কাজের জন্য শাস্তির মুখোমুখিও হতে হয়। রেল স্টেশন চত্বরে, প্লাটফর্মের যেকোনও জায়গায় বিশেষ করে লিফ্টে, ফুট ওভার ব্রিজগুলিতে ও ট্রেনের কামরায় থুতু বা আবর্জনা ফেললে পরিবেশের সৌন্দর্য নষ্ট হয় এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার মাত্রা কমে যায়। এগুলি সহযাত্রীদের স্বাস্থ্যের ওপরও প্রভাব ফেলে। আরপিএফ তো বটেই, নজরদারির জন্য রেল স্টেশনে বসানো উচ্চ প্রযুক্তির সিসিটিভি ক্যামেরার সাহায্যে সহজেই সংশ্লিষ্ট যা🌳ত্রীকে শনাক্ত করা যায়। আর অপরাধ শনাক্ত হলেই জরিমানা ও কারাদণ্ডের শাস্তি দেওয়া হয়। যারা এই কাজ করেন তাদের এই অপরাধের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় আচরণে পরিবর্তন আনার জন্য।