এবার ‘ইউনিফর্ম’ পরে মিছিল–সমাবেশে দেখা যেতে পারে বিজেপি–র মহিলা কর্মীদের। তাঁদের জন্য বিশেষ ডিজাইনার শাড়ি তৈরি করিয়েছেন ফ্যাশন ডিজাইনার ও বিজেপি মহিলা মোর্চার সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল। এ নিয়ে ইতিমধ্যে জল ঘোলা করতে শুরু করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক মহল। যদিও সে সব কানে তুলতে নারাজ অগ্নিমিত্রা। তাঁর কথায়, ‘ইউনিফর্ম সামঞ্জস্য আনে, পার্থক্য দূর করে। এর একটা আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। স্কুলপড়ুয়া, নিরাপত্তারক্ষী থেকে শুরু করে দেশের প্রতিরক্ষার দায়িত্বে যাঁরা রয়েছেন তাঁদেরও নির্দিষ্ট ইউনিফর্ম রয়েছে।’স্বাভাবিকভাবেই গেরুয়াশিবিরের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করা এই শাড়িগুলিতে রয়েছে বিশেষ নকশা। প্রতিটি শাড়িতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে দলীয় প্রতীক পদ্মফুলের নানা আকারের ছবি। দু’ধরনের রঙের কাজ রয়েছে শাড়িগুলিতে। হালকা ধূসর জমিনে একটি শাড়িতে রয়েছে কমলা ও কালো রঙের কাজ, আরেকটি করা হয়েছে কমলা ও সবুজ রঙে। অগ্নিমিত্রা বলেন, ‘মোর্চার সদস্যদের এই ইউনিফর্ম শাড়ি পরতেই হবে এমন কোনও বাধ্যতা নেই। ইচ্ছে হলে যে কেউ এটি কিনে পরতে পারে।’বিখ্যাত ডিজাইনারের এই অভিনব উদ্যোগকে ঘিরে ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে বিতর্ক। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি দলের ভেতর শাড়ির ব্যবসা শুরু করেছেন। বিভিন্ন হোয়াট্সঅ্যাপ গ্রুপে চলছে দরদামও। তৃণমূলের তাপস রায় কটাক্ষ করে বলেন, ‘অগ্নিমিত্রা যে কাজে ভাল তিনি সেটাই করছেন। যদিও এই ইউনিফর্মের চটকদারিতে বাংলায় বিশেষ কিছু লাভ হবে না বিজেপি–র।’ কংগ্রেস নেতা অমিতাভ চক্রবর্তী অগ্নিমিত্রার নাম না করে বলেন, ‘এ ধরনের লোকজন রাজনৈতিক দলকে নিজের ব্যবসার স্বার্থেই ব্যবহার করেন।’এ সব শুনে রেগে আগুন অগ্নিমিত্রা বলেন, ‘বাজারে ৫০০ টাকার কমে ভাল সুতির শাড়ি পাওয়া যায় না। আর আমরা এই শাড়িগুলির দাম রেখেছি মাত্র ২৭৫ টাকা। এগুলি তৈরি করছে এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, আমার স্টুডিও নয়। সত্যি বলতে, ২৭৫ টাকায় একটা মাস্কও পাওয়া যাবে না আমার স্টুডিওতে।’ কিছু লোকজনের কোনও কাজবাজ নেই, তাই এ ধরনের রাজনীতি করছে বলে অভিযোগ করেন ক্ষুব্ধ অগ্নিমিত্রা।