অবশেষে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ নিয়ে মুখ খুলল মিশনারিজ অফ চ্যারিটি। মাদার টেরেসার সংস্থার তরফে জানানো হল, মিশনারিজ অফ চ্যারিটির কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করেনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র ꧑মন্ত্রক।
দিনভর বিতর্কের পর সোমবার সন্ধ্যার দিকে মাদারের সংস্থার তরফে জানানো হয়, মিশনারিজ অফ চ্যারিটির ২০১০ সালের ফর🐻েন কন্ট্রিউবিউশন রেগুলেশন অ্যাক্টের (এফসিআরএ) রেজিস্ট্রেশন রদ করা হয়নি বা বাতিল করা হয়নি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে মিশনারিজ অফ চ্যারিটির কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার নির্দেশ করা হয়নি। সংস্থাকে জানানো হয়েছে, মিশনারিজ অফ চ্যারিটির এফসিআরএয়ের আবেদন পুনর্নবীকরণের আবেদন মঞ্জুর হয়নি। যাতে কোনওরকম গলদ না থাকে, সেজন্য বিষয়টি সমাধান না হওয়া পর্যন্ত মিশনারিজ অফ চ্যারিটির সমস্ত কেন্দ্রের যাবতীয় বিদেশি মুদ্রার লেনদেন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রায় দুই সপ্তাহ আগে ভদোদরায় মিশনারিজ অফ চ্যারিটির শাখায় জোর করে হিন্দু তরুণীদের ধর্মান্তরণ ও হিন্দু ভাবাবেগে আঘাত হানার অভিযোগ উঠেছিল। ঘটনায় তদন্ত শুরু করে গুজরাত পুলিশ। সেই ঘটনার মধ্যেই মিশনারিজ অফ চ্যারিটির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হয়। বিষয়টি নিয়ে মিশনারিজ অফ চ্যারিটির তরফে কোনও মন্তব্য করা না হলেও রাজনৈতিক টানাপোড়েন শুরু হয়। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ক্রিসমাসে এই খবর শুনে আমি স্তম্ভিত যে কেন্দ্রীয় সরকার ভারতে মাদার টেরেসার মিশনারিজ অফ চ্যারিটির সমস্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্♒রিজ করেছে। তাদের ২২,০০০ রোগী ও কর্মচারী খাবার ও ওষুধ ছাড়াই পড়ে আছেন। যদিও আইন সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। তবে মানবিক বিষয়টি আপস করা উচিত নয়।’
সেই বিতর্কের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, ২০১০ সালের ফরেন কন্ট্রিউবিউশন রেগুলেশন অ্যাক্ট (এফসিআরএ) এবং ২০১১ সালের ফরেন কন্ট্রিউবিউশন রেগুলেশন রুলসের (এফসিআরআর) অধীনে নিয়ম পালনে ব্যর্থ হওয়ায় গত ২৫ ডিসেম্বর মিশনারিজ অফ চ্যারিটির এফসিআরএ পুনর্নবীকরণের আর্জি খারিজ করা হয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে মিশনারিজ অফ চ্যারিটি নিজেদের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার আর্জি জানায় বলে এসবিআইয়ের তরফে কেন্দ্রকে জানানো হয়েছে। শাহের মন্ত্রকের তরফে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘মিশনারিজ অফ চ্যারিটির কোনও অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করেনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে যে মিশনারিজ অফ চ্যারিটি নিজেদের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার আর্জি জানিয়েছিল।’ সেইসঙ্গে দাবি করা হয়, গত ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত মিশনারিজ অফ চ্যারিটির রেজিস্ট্রেশন (২০১০ সালের ফরেন কন্ট্রিউবিউশন রেগুলেশন অ্যাক্টের আওতায় নথিভুক্ত, রেজিস্ট্রেশন নম্বর ১৪৭১২০০০১) নথিভুক্ত বৈধ ছিল। তা পরবর্তীতে বাড়িয়ে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়। আরও এফসিআরএ সংস্থার সময়সীমাও বাড়ানো হয়েছিল। কিন্তু মিশনারিজ অফ চ্যারিটির পুনর্নবীকরণের আর্জি খতিয়ে দেখার জন্য 📖কয়েকটি ‘বিরূপ’ ত♈থ্য নজরে আসে বলে কেন্দ্রের তরফে দাবি করা হয়েছে।