আরজি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় উত্তাল গোটা দেশ। দোষীদের শাস্তি এবং নিরাপত্তার দাবিতে রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিতে চলেছে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি। বহির্বিভাগে মিলছে না চিকিৎসা পরিষেবা। এই অবস্থায়🃏 হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে যেতে হয় দূর-দূরান্তের রোগীদের। তার ফলে চরম সমস্যায় প🌠ড়তে হয় মুমূর্ষ এবং দরিদ্র রোগীদের। আন্দোলনের জেরে চিকিৎসা ব্যবস্থা কার্যত মুখ থুবড়ে পড়ে। এই অবস্থায় চিকিৎসকদের কাছে মানবিক আর্জি জানালেন কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
আরও পড়ুন: কর🐭্মবিরতির জেরে চরমไ দুর্ভোগ, সিউড়িতে হাসপাতালের বাইরেই রোগী দেখছেন ডাক্তাররা
মেয়র চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, ‘যারা অন্যায় করেছে, যারা দোষী, তাদেরকে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে। কিন্তু রোগীরা তো কোনও অন্যায় করেনি, তাহলে তাদের কেন শা෴স্তি দিচ্ছেন?’ তিনি দাবি করেছেন, চিকিৎসা না পেয়ে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসা পরꦏিষেবা পেতে চেয়ে শহরের অনেক দরিদ্র মানুষ তাঁর কাছে আসেন। তিনি অনেকের জন্যই অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে দেন। কিন্তু, তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন চিকিৎসা না পেয়ে মারা গিয়েছেন বলে দাবি করেন ফিরহাদ হাকিম।
আরজি করের ঘোষণার প্রসঙ্গে নির্যাতিতাকে ‘মেয়ে’ বলে সম্বোধন করেন ফিরহাদ। তিনি জানান, মেয়ের মৃত্যুর ব্যথা তাঁর বুকে রয়েছে। সে ব্যথা কোনওদিন যাবে না। তার মানে এই নয় যে অন্য𝐆 ১০ জনকে মেরে 💎ফেলতে হবে। চিকিৎসকদের শপথের কথা মনে করিয়ে দিয়ে ফিরহাদ জানান, চিকিৎসকরা রোগীদের বাঁচানোর শপথ নিয়েছেন। সেই দায়িত্ব তাঁদের পালন করতে হবে। শপথ ভুলে গেলে চলবে না। সাধারণ মানুষ চিকিৎসকদের ছাড়া অসহায়।
ফিরহা♉দ আরও বলেন, ‘চিকিৎসকরা হলেন ভগবানের রূপ। তাঁদের আক্রমণ করা মানে ভগবানকে আক্রমণ করা। তিনি চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে আরও বলেছেন, যে বা যারা অন্যায় করেছে, আদালত তাদের নিশ্চয়ই কঠিন শাস্তি দেবে। তবে তার জন্য আপনারা রোগীদের শাস্তি দেবেন না। একইসঙ্গে আরজি কর হাসপাতালে তাণ্ডব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই ঘটনা মোটেও কাঙ্ক্ষিত নয়।
নিজের কথা উল্লেখ করে ফিরহাদ⛎ জানান, তিনিও সব কাজে দক্ষ নন। অনেক সময় নিজের কাজের জন্য তাঁকে সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়। তাতে খারাপ লাগে ঠিকই। তার মানে এই নয় যে কাজ ছেড়ে দিতে হবে।