উত্তরপ্রদেশ উপনির্বাচনে কার্যত অভ🎀িযোগের পাহাড় তৈরি করল সমাজবাদী পার্টি (সপা)। তথ্য বলছে, বুধবার রাজ্যের নয় আসনে যখন ভোটগ্রহণ চলছে, ঠিক সেই দিনই মাত্র ১০ ঘণ্টায় ৮০টিরও বেশি অভিযোগ তাদের সোশাল মিডিয়া হ্যান্ডেলের পোস্ট করেছে সপা।
ভোটে কারচুপি, দলীয় স💯মর্থকদের ভোটদানে বাধা-সহ একগুচ্ছ অভিযোগ তুলে এদিন আগাগোড়া আক্রমণ🐻াত্মক থেকেছে সপা নেতৃত্ব। দলের প্রধান তথা সপা সভাপতি অখিলেশ যাদব নিজে ভোটারদের কাছে আবেদন করেছেন, যদি কোথাও, কেউ তাঁদের ভোট দিতে বাধা দেয়, তাহলে তাঁরা যেন সেই ঘটনার ভিডিয়ো তুলে সপা-কে পাঠায়। যাতে সমাজবাদী পার্টি এ নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ করতে পারে।
যদিও সূত্রের দাবি, সপা-র তরফে ভূরি ভূরি অভিযোগ করাꦫ হলেও নির্বাচন কমিশন মাত্র কয়েকটি অভিযোগের ক্ষেত্রেই সাড়া দিয়েছে এবং পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিয়েছে। যার নিট ꧑ফল - পাঁচ পুলিশ আধিকারিকের সাসপেনশন।
বলা হচ্ছে, ওই পাঁচজন পুলিশ আ♕ধিকাওরিক নাকি নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুসারে নিজেদের কর্তব্য পালন করেননি। সেই কারণেই তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
উত্তরপ্রদেশের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক নবদীপ রিনওয়া জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে এবং তথ্য যাচাই করেই ওই পাঁচ প🧜ুলিশ আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, সাসপেন্ড হওয়া পুলিশ আধিকারিকদের মধ্যে দু'জন কানপুর, দু'জন মুজাফ𓆏্ফরনগর এবং একজন মোরাদাবাদে কর্তব্যরত ছিলেন।
যদিও নির্বাচন কমিশনের এটুকু পদক্ষেপে মোটেও খুশি নন সমাজবাদী পার্টির সভাপতি অখিলেশ যাদব। তাঁর পালটা অভিযোগ, তাঁদের দলের তরফে অনিয়মের একাধিক ঘটনা সম্পর্কে নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করার পরও অধিকাং🦩শ ক্ষেত্রেই তারা কোনও পদক্ষেপ করেনি। এর জন্য কমিশনের কড়া সমালোচনা করেছেন অখিলেশ।
তাঁর আরও অভিযোগ, নির্বাচন কমিশনের নিযুক্ত আধিকারিকরাইܫ উলটে সপা সমর্থকদের ভোটদানে বাধা দিয়েছেন। অখিলেশের হুঁশিয়ারি, যে আধিকারিকরা এস💟ব করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে শীঘ্রই আইনি পদক্ষেপ করা হবে।
এদিন আয়োজিত একটি সাংবাদিক সম্মেলনে অখিলেশ বলেন, বুধবার সকালে ভোট শুরু꧅ হওয়ার পর থেকে, যখনই কোনও অশান্তি বা অনিয়মের খবর এসেছে, তাঁদের দলের তরফে সেই তথ্য সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন যাতে ঘটনাগু🙈লি জানতে পারে, তার জন্য সংশ্লিষ্ট সমস্ত পোস্টে তাদের ট্যাগ করা হয়েছে। কিন্তু, তারপরও নির্বাচন কমিশন অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কোনও পদক্ষেপ করেনি বলে অভিযোগ করেছেন অখিলেশ।
ভোটে কারচুপির অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি বিজেপিকেও কাঠগড়ায় তুলেছেন অখিলেশ। তাঁর দাবি, 'ওরা (বিজে♔পি) আধিকারিকদের কারচুপি করতে বাধ্য করেছে। আমি আমাদের সমর্থকদের বলব, আপনারা মন খারাপ করবেন না। শুধুমাত্র ভোটদানের পর ফিরে আসুন। ওঁদের একাধিকবার চেষ্টা করতে হবে এবং ভোট দিতে হবে। তা তাতে যতই সময় লাগুক না কেন।'