পুজো শেষ হতেই আশঙ্কা সত্যি করে চড়চড়িয়ে রাজ্যে বেড়ে চলেছে করোনার দৈনিক সংক্রমণ। এই বিষয়ে শুক্রবার বিশেষ বৈঠকে বসেন পৌরনিগমের আধিকারিকরা। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে নয়া সেফ হোম খোলার। আর এরই মাঝে পুরপ্রশাসক ফিরহাদ জানিয়ে দিলেন, করোনাকে সঙ্গী করেই চলবে জীবন। ফিরহাদ এই বিষয়ে সাংবাদিকদের শুক্রবার বলেন, 'যেভাবে পক্স বা অন্যান্য রোগকে সঙ্গী করে চলি, তেমনই করোনাকে নিয়েই চলতে হবে আমাদের।' এদিন করোনা টিকাকরণ নিয়ে ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'করোনার টিকার দুই ডোজ নিলেই যে করোনা হবে না, এরম কেউ বলেনি। তবে সেই ক্ষেত্রে করোনা অতিমারীর আকার নেবে না। যেই মৃত্যুর মিছিল শুরু হয়েছিল, টিকাকরণে সেটাকে রুখে দেওয়া সম্ভব হবে। আমার কিছু হবে না, এই মানসিকতা নিয়ে অনেকে এখনও জীবন কাটাচ্ছেন। দ্বিতীয় ডোজ না নেওয়াকে অনেকেই বীরত্ব হিসেবে দেখছেন। এটা ঠিক করছেন না। তাঁদের উদ্দেশে বলি, করোনার দ্বিতীয় ডোজ যত দ্রুত সম্ভব নিয়ে নিন।' এদিকে কলকাতায় আপাতত কনটেনমেন্ট জোন করা বেশ কঠিন বলে জানান ফিরহাদ। তিনি জানান, মাত্র দুই বা তিনটি পাড়াতেই করোনা সমগ্রভাবে ছড়িয়েছে। বাকি ক্ষেত্রে সংক্রমণ পরিবারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থেকেছে। তাই গোটা এলাকাকে কনটেইনমেন্ট জোনে ফেলে দেওয়া যাবে না। ফিরহাদ বলেন, 'রাজ্য সরকার করোনা ঠেকাতে অনেক বিধি-নিষেধ জারি করেছে। আমি আশাবাদী সংক্রমণ ধীরে ধীরে কমবে। পুজোর জন্য যে শুধুমাত্র করোনা বাড়ছে, তা নয়। আমার অনেক বন্ধু রয়েছেন যাঁদের ঘুরতে গিয়ে করোনা হয়েছে। যদি মানুষ একটু ভিড় এড়িয়ে চলেন, যদি দায়িত্ব নিয়ে এবং সচেতনভাবে মাস্ক পরেন, তাহলে করোনার এই বাড়বাড়ন্ত ঠেকানো যাবে। আমি জানি, মানুষ সচেতন হবেন।'