এত দিন লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে ফ্ল্যাট কিনলেও মালিকরা পরচা পেতেন না। এ বার থেকে ফ্ল্যাট কিনলে অন্যান্য নথির সঙ্গে পরচাও দেবে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর। সেই পরচার ভিত্তিতে ফ্ল্যাট মালিকরা ব্যক্তিগত ভাবে জমির খাজনা মেটাতে পারবেন। এর ফলে খাজনা ব💯াবদ সরকারের আয় বাড়বে বলে মনে করছেন সরকারি আধিকারিকেরা।
পরচাই হল জমির সরকারি স্বী🌼কৃতি। এত দিন পর্যন্ত নির্দিষ্ট জমি বা ভূখণ্ডের জন্য পরচা তৈরি হত। যা সরকারি তথ্য ভাণ্ডারে সুরক্ষিত থাকত। এই পরচায় জমির চরিত্র থেকে শুরু করে মাপ সব কিছু লেখা থাকে। সরকারি ভাবে পরচাকেই আসল 'ল্যান্ড রেকর্ড' বলা হয়। এই পরচা অনুযায়ী সরকারের প্রতি বছর খাজনা জমা হয়।
কিন্তুℱ এত দিন পর্যন্ত ফ্ল্যাট মালিকদের এই পরচা দেওয়ার ব্যবস্থা ছিল না। এ বার থেকে পুরসভার মিউটেশনের সঙ্গে তৈরি হবে পরচাও। ফ্ল্যাট মালিকের নাম ও যাবতীয়꧅ তথ্য নথিভুক্ত হবে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরে। জমির মালিক আলাদা করে তাঁর ফ্ল্যাটের খাজনা মেটাতে পারবেন।
বিষয়টির সহজ ব্যাখ্যা হল, কোনও ফ্ল্যাট বাড়িতে যদি ১০০টি ফ্ল্যাট থাকে তবে ওই ১০০টি ফ্ল্যাটের জন্য আলাদা আলাদা পরচা মিলবে। বর্তমানে জমির পরিমাপের উপর ভিত্তি করে ꦰখাজনা নেওয়া হয়। ফলে ১০০ ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা সবাই মিলে খাজনার টাকা দিতেন। এখন ফ্ল্যাটের আকার অনুযায়ী বিল্ডিংয়ের ‘কমন সার্ভিসেস এরিয়া’ সমানুপাতিক হারে যুক্ত করে খাজনা নির্ধারিত হবে। সেই খাজনা মালিকরা নিজ🐬েরাই জমা দিতে পারবেন।
দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ফ্ল্যাট বিক্রি না হওয়া পর্যন্ত নির্মাণকারীকে খাজনা দিতে হবে। বিক্রি হয়ে যাওয়ার পর ফ্ল্যাট মালিক খাඣজনার টাকা নিজেই দিতে পারবেন।
এক সরকারি আধিকারিকের কথায়, পরচা দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে। খুব শীঘ্রই এই ব্যবস্থা চালু হবে। তবে কলকাতা পুরসভার ১ থেকে ১০০ ওয়ার্♉ডে এই ন⛄িয়ম চালু করতে হবে পুর আইনে সংশোধনী আনতে হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।