রেশনে চালের জোগান অব্যাহত রাখা দরকার। তাই বাইরে থেকে চাল কেনার সিদ্ধা﷽ন্ত আগেই নিয়েছিল খাদ্য দফতর। ঘাটতি মেটাতে কত পরিমাণ চাল কেনা হবে? সেটা নিয়ে এবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে খাদ্য দফতর বলে সূত্রের খবর। খোলা বাজার থেকে এই চাল কিনতে দ্রুত ই–টেন্ডার ডাকার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই কাজ করতে গড়া হয়েছে সাতজন অফিসারের কমিটি। ওপেন মার্কেট সেল স্কিমে (ওএমএসএস) কেন্দ্রের কাছ থেকে চাল ক্রয়ের সুযোগ নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। তাই রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের গ্রাহকদের চাল দিতে খোলাবাজার থেকেই চাল কেনার উদ্যোগ নিয়েছে খাদ্যদফতর। খোলাবাজার থেকে ৫ লক্ষ টন চাল কিনতে দ্রুত ই–টেন্ডার ডাকার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর।
২০২২ সালেই প্রথম রেশন গ্রাহকদের জন্য খোলাবাজার থেকে চাল কিনেছিল রাজ্য সরকার। এবার এই চাল কেনার জন্য রাজ্যের খাদ্যসচিব পারভেজ আমেদ সিদ্দিকী সম্প্রতি কেন্দ্রকে চিঠি লেখেন। ইতিমধ্যেই নয়াদিল্লি ঘোষণা করেছে, ওএমএসএস ব্যবস্থায় জুলাই মাস থেকে তারা গমের সঙ্গে চালও বিক🌃্রি করবে। চালের দর হবে কেজি প্রতি ৩১ টাকা। তবে রাজ্য সরকারগুলিকে চাল বিক্রি করবে কি না কেন্দ্রীয় সরকারের ঘোষণায় সেসবের উল্লেখ নেই। পশ্চিমবঙ্গের মতো চাল উৎপাদনে এগিয়ে থাকা রাজ্যকে ওপেন মার্কেট স্কিমে চাল নাও দেওয়া হতে পারে বলে 𓄧আশঙ্কা রয়েছে। ফলে নানা গুঞ্জন তৈরি হয়েছে।
এদিকে কেন্দ্রীয় খাদ্য ও বণ্টন মন্ত্রকের সচিবকে চিঠি লিখে রাজ্যꦦের খাদ্যসচিব পারভেজ আমেদ সিদ্দিকী জানান, রেশনে চালের জোগান অব্যাহত রাখতে যেন কেন্দ্রীয় সরকার পশ্চিমবঙ্গকে খাদ্যশস্য দেয়। সেখানে চালের উপর বাড়তি জোর দেওয়া হয়েছে। এই চিঠির পরই খাদ্যমন্ত্রক রাজ্যকে জানিয়ে দিয়েছে, তাদের পক্ষে চাল দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ পশ্চিমবঙ্গ চাল উৎপাদনে দেশের মধ্যে প্রথম। এমন চিঠি পেয়েই ঘাটতি মেটাতে উদ্যোগী হন খাদ্য দফতরের অফিসাররা। দফায় দফায় বৈঠক 💮করেন। তারপর সিদ্ধান্ত নেন, খোলা বাজার থেকে চাল কিনে এই ঘাটতি মিটিয়ে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ‘তꦿিন মাসের মধ্যে চোরেদের সরকারকে বিদায় দেব’, পটাশপুর🧸 থেকে ডেডলাইন শুভেন্দুর
অন্যদিকে খোলা বাজারে চালের দাম অনেক বেশি। তাই ৩১ টাকা কেজি দরে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে চাল কিনতে পারলে রাজ্য সরকারের আর্থিকভাবে লাভই হতো। কিন্তু সেটা হচ্ছে না। রাজ্য খাদ্য 🤪সুরক্ষা প্রকল্পে প্রায় ২ কোটি ৮০ লক্ষ গ্রাহককে মাসে মাথাপিছু ২–৫ কেজি চাল ꩲদিতে হচ্ছে খাদ্য দফতরকে। সেখানে খোলা বাজার থেকে চাল কিনে এই প্রকল্প অব্যাহত রাখা বেশ চাপের। আর খোলাবাজার থেকে চাল কেনার খরচ আগের তুলনায় বাড়বে। কারণ খোলবাজারে ধান–চালের দাম বেড়ে গিয়েছে।