চূড়ান্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হল উত্তরবঙ্গের জলদাপাড়ার জঙ্গলে। মাইক্রো ড্রোন দিয়ে শুরু হয়েছে নজরদারি। কোথাও তারা লুকিয়ে আছে কি না সেটা দেখা হচ্ছে। আসলে তারা বলতে এখানে চোরাশিকারির দল। গোপন সূত্রে বনদফতরের কাছে খবর যায় যে বন্যপ্রাণীকে হত্যার জন্য জলদাপাড়ার জঙ্গলে দুষ্কৃতীরা জলদাপাড়𒈔ার জঙ্গলে প্রবেশের চেষ্টা করছে। এরপরই সতর্ক হয়ে যায় বনদফতর। কারণ চোরাশিকারীদের উৎপাত মানেই বন্য জীবজন্তুদের জীবনহানির শঙ্কা। সেকারণে আর কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না বনদফতর। কার্যত হাই অ্য🉐ালার্ট জারি করে জঙ্গলের বিভিন্ন অংশের উপর নজরদারি শুরু করে বনদফতর।
গোপন সূত্রে বনদফতরের কাছে খবর গিয়েছিল যে আত্মীয়র ছদ্মবেশে চোরাশিকারীরা বনবস্তিতে আশ্রয় নিতে পারে। এই খবর পাওয়ার পরেই সতর্ক হয়ে যায় দফতর। এরপর শুরু হয় মাইক্রো ড্রোনের সহায়তায় নজরদারি। মূলত জঙ্গলের মধ্য়ে কোথাও তারা লুকিয়ে রয়েছে কি না সেটাই দেখা হচ্ছেꦰ।
মূলত জঙ্গলের দুর্গম এলাকার উপর নজরদারির জন্য এই মাইক্রো ড্রোনের সহায়তা নেওয়া হচ্ছে। এই মাইক্রো ড্রোনের সহায়তায় আরও নির্দিষ্টভাবে জঙ্গলে তল্লাশি করা সম্ভব। বিভিন্ন বিটের উপর নজর রাখা হচ্ছে। কোথাও মানুষের উপস্থিতি রয়েছে কি ন🐻া সেটা দেখা হচ্ছে।
জলদাপাড়ায় এর আগে ২০২১ সালে গন্ডার হত্যার কথা জানা গিয়েছিল। তারপর থেকে নতুন করে আর কোনও গন্ডার হত্যার কথা জানা যায়ন▨ি। ﷺতবে পুজোর মরশুমের সুযোগ নিতে পারে চোরাশিকারীরা। সেই সঙ্গেই রয়েছে গোপন সূত্রে পাওয়া খবর। সেকারণে আর কোনও ঝুঁকি নিতে রাজি নয় বনদফতর। রাতের ইমেজগুলিও গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এই মাইক্রো ড্রোন জঙ্গলের একেবারে কোণায় কোণায় নজর রাখব🅷ে। কোথাও দুষ্কৃতীরা রয়েছে কি না, কোথাও জঙ্গলের মধ্য়ে চোরাশিকারীরা ঘাঁটি গেড়েছে কি না সেটাই নজর রাখা হচ্ছে।🍸 বর্তমানের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, সব মিলিয়ে চারটি মাইক্রো ড্রোনকে কাজে লাগানো হচ্ছে।
এদিকে ২০২২ সালের পরিসংখ্যান বলছে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে সব মিলিয়ে ২৯২টি🍬 গন্ডারের সন্ধান মিলেছিল🍨। এখন সেই সংখ্য়া আরও বাড়তে পারে। আর চোরাশিকারীদের কাছে গন্ডার অত্যন্ত লোভনীয় জন্তু। তবে সেই চোরাশিকারীদের রুখতে এবার সতর্ক বনদফতর। একেবারে আধুনিকতম প্রযুক্তিকে কাজে লাগনো হচ্ছে। ভোর হতেই শুরু হয়ে যাচ্ছে নজরদারি। ড্রোনের মাধ্যমে যে ইমেজগুলি আসছে সেগুলিকে অত্যন্ত খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছে।