বিদেশি মুদ্রা আইন লঙ্ঘন করেছেন তিনি। আর এই অভিযোগে তাঁকে আগেই তলব করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। আজ, সোমবার তাঁকে সশরীরে হাজিরা দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু ইডি’র ডাকে সাড়া দেননি তৃণমূল কংগ্রেসের বহিষ্কৃত সাংসদ। তাই আজই আবার তাঁকে তলব করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। চারদিন আগে যে নোটিশ পাঠানো হয়েছিল তাতে সাড়া দেননি তিনি। আজ আবার নতুন করে নোটিশ পেলেন তিনি। হ্যাঁ, তিনি কৃষ্ণনগরের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ (বহিষ্কৃত)ﷺ মহুয়া মৈত্র। যাঁর বিরুদ্ধে ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট (ফেমা) লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে। আর এই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্যই মহুয়া মৈত্রকে আজ ১৯ ফেব্রুয়ারি হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল নয়াদিল্লিতে।
এদিকে মহুয়া মৈত্র সেই ডাকে সাড়া দেননি। তাই আজ আবার নতুন করে নোটিশ তাঁকে পাঠানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর। টাকার বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন করার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। সংসদে এই প্রশ্ন বিতর্কেই তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদের বিরুদ্ধে বিদেশি মুদ্রা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছিল। এই অভিযোগের সত্যতা খুঁজে বের করার তদন্তভার পায় ইডি। তার পর থেকেই গত বৃহস্পতিবার তৃণমূল কংগ্রেস🦋 সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে তলব করে চলেছে ইডি। আজকের হাজিরা মহুয়া এড়িয়ে যান। আর সরাসরি ইডির কাছ থেকে তিন সপ্তাহ সময় চান বহিষ্কৃত সাংসদ। কিন্তু এবার আবার ইডি তাঁকে তলব করল বলেই সূত্রের খবর।
অন্যদিকে নয়াদিল্লিতে গিয়ে ইডির সদর দফতরে জবানবন্দি দিতে হবে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রীকে। ফেমার আওতায় মহুয়ার বক্তব্য রেকর্ড করবে ইডি। লোকপাল আইনের আওতায়ও মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে তদন্ত করছে সিবিআই। ইডি সূত্রে খবর, আজ সোমবার মহুয়াকে তলব করা হলেও তিনি হাজির হননি। তাই নতুন করে আগামী সপ্তাহে আবার বহিষ্কৃত সাংসদকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। যদিও নির্দিষ্ট তারিখ ইডি দফতর থেকে জানা যায়নি। ইতিমধ্যেই সাসপেন্ড হয়েছেন মহুয়া মৈত্র। এই সিদ্🀅ধান্তের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন বহিষ্কৃত সাংসদ। তবে এই মামলায় এখনও কোনও রায় দেয়নি সর্বোচ্চ আদালত। তার মধ্যেই ইডির মুখোমুখি হতে হবে মহুয়া মৈত্রকে।
আরও পড়ুন: অনন্যার বক্তব্যের জবাবদিহি চাওয়া 🍷হয়েছে, এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করলেন ম♏েয়র
এছাড়া মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী দর্শন হিরানন্দানির কাছ থেকে নগদ ও মূল্যবান উপহার নেওয়ার বিনিময়ে ল⛎োকসভায় প্রশ্ন করার অভিযোগ করেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। ঘুষের বিনিময়ে মহুয়া মৈত্র হিরানন্দানির নির্দেশে আদানি গোষ্ঠী এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করেন বলে অভিযোগ তোলেন নিশিকান্ত। ব্যক্তিগত আর্থিক লাভের জন্যই মহুয়া জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে আপস করেন বলে গুরুতর অভিযোগও তোলা হয়। নিশিকান্তর অভিযোগের ভিত্তিতে মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে তদন্ত করে লোকসভꦰার এথিক্স কমিটি। এথিক্স কমিটির রিপোর্ট জমা পড়তেই ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে মহুয়া মৈত্রকে লোকসভা থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।