সাধারণত খেলার মাঠে দর্শকদের জন্য তৈরি থাকে গ্যালারি। যেখানে বসে দর্শকরা খেলা দেখেন এবং আনন্দ উপভোগ করেন। কলকাতার ইডেন গার্ডেন্স থেকে শুরু করে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে এমন গ্যালারি দেখ♛তে পাওয়া যায়। কিন্তু খাস কলকাতার বুকে আরও একটি গ্যালারি তৈরি হতে চলেছে। সেটাও দর্শকদের জন্য। তবে সেখানে বসে খেলা দেখা যাবে না। সꦇেখানে বসে দেখা যাবে পবিত্র গঙ্গা আরতি। বারাণসীর ধাঁচে বাবুঘাটে যে গঙ্গা আরতি শুরু হয়েছে সেটা দেখার জন্যই এবার গ্যালারি তৈরি করা হচ্ছে।
কেন এমন গ্যালারির প্রয়োজন? বাবুঘাটের বাজেকদমতলা ঘাটে গঙ্গা আরতি দেখতে রোজ ভিড় বাড়ছে। কিন্তু সেইসব দর্শকদের বসার জায়গা দেওয়া যাচ্ছে না। কারণ বসার জন্য যে জায়গা করা হয়েছিল এখন তা উপচে পড়ছে দর্শকদের ভিনে। আমজনতার পাশাপাশি এখন অনেক ভিআইপি–ভিভিআইপিদেরও আনাগোনা হচ্ছে বাড়ছে গঙ্গার ঘাটে। এই গরꦛমকালে সেখানে এসে বহু মানুষ গঙ্গা আরতি দেখলেন এবং নদীর থেকে যে বাতাসের উৎপত্তি হল তা গায়ে মেখে বাড়ি ফিরলেন। এমনকী হাওয়ার নির্মল শীতলতায় গঙ্গা আরতির শেষে মানুষ সেখানে 𝐆বসেছিল।
আর কী জানা যাচ্ছে? শনিবার এবং রবিবার এই দুটি দিন উপচে পড়ছে কালো মাথার ভিড়ে। এমন অবস্থায় এবার ভিড় সামলাতে এবং সুষ্ঠুভাবে গঙ্গা আরতি দেখার জন্য গ্যালারি তৈরি হচ্ছে বাজেকদমতলা ঘাট♍ে। কলকাতা পুরসভার নেতৃত্বে এ♔ই কাজটি হতে চলেছে বলে খবর। শহরের মানুষজন এই গঙ্গা আরতির দৃশ্য দেখতে চান। সেটা এই ভিড়ে প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। তাই অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতেই এই গ্যালারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফলে শীত–গ্রীষ্ম–বর্ষা এই গ্যালারিই আমজনতার ভরসা হয়ে উঠবে বলে মনে করা হচ্ছে।
কেমন হবে এই গ্যালারি? এই গ্যালারি অস্থায়ীভাবে তৈ📖রি করা হচ্ছে না। কংক্রিটের গ্যালারি তৈরি হচ্ছে গঙ্গার ঘাটে। মানুষের চাপ যাতে নিতে পারে সেরকমই গ্যালারি গড়ে তোলা হচ্ছে। এখানে নতুন করে বাহারি আলো লাগানোর কাজ চলছে। কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, এই বাজেকদমতলা ঘাটের দু’দিকে তৈরি হচ্ছে বড় গ্যালারি। তাই এখানে বিপুল পরিমাণ মানুষজন বসে গঙ্গা আরতি দেখতে পারবেন। সারিবদ্ধভাবে ৪২টি আসন বিশিষ্ট মোট ৮৪টি আসনের ജগ্যালারি তৈরি হচ্ছে। এমনকী দু’পাড়ে ১৯টি করে মোট ৩৮টি নতুন বাহারি বাতিস্তম্ভ লাগানো হচ্ছে। যাতে এখানে পর্যটকরা এসেও গঙ্গা আরতি দেখতে পান।