লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর প্রথমবার🐷 সাংগঠনিক বৈঠক করে দলীয় নেতৃত্বকে সুকৌশলে কটাক্ষ করলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। বুঝিয়ে দিলেন, যে ভাবে তাঁকে আক্রমণ করা হচ্ছে তার জবাব দিতেও পিছ পা হবেন না তিনি। বুধবার সন্ধ্যায় শুভেন্দুবাবু সাংবাদিকদের নানান প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে প্রচ্ছন্নে দলের রাজ্য নেতৃত্বকে কাঠগড়ায় তোলেন। বলেন, ‘ভালো হলে নিজেদের ক্রেডিট দেন, খারাপ হলে আমার ঘাড়ে চাপান’।
আরও পড়ুন - মূল সুবিধাভোগীর হয়ে চাকরি বিক্রির টাকা তুলেছে আরেকজন, 💝আদালতে জ✤ানাল CBI
পড়তে থাকুন - চিঠির হাতের লেখা কি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকে🃏রই, ফরেন্সিক পরীকಞ্ষা করাতে চায় ইডি
এদিন বিধাননগরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দুবাবু বলে🌜ন, ‘দলের সবাই আমাকে পুরস্কার দেয় না। কেউ কেউ তিরস্কারও দিতে পারে। অনেকে অনেক কিছু পোস্টও করতে পারে। তীর্যক মন্তব্যও করতে পারে। ভালো হলে নিজেদের ক্রেডিট দেন, খারাপ হলে আমার ঘাড়ে চাপান। কিন্তু আমি কখনওই দলের অভ্যন্তরীণ বিষয় বাইরে বলতে চাই না।’
দলের ব্যর্থতার দায় সামগ্রিকভাবে রাজ্য নেতৃত্বের ঘাড়ে ঠেলে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘দলীয় সংগঠনে রদবদল নিয়ে আমি কোনও মন্তব্য করব না। প্রার্থী নির্⛎বাচন, প্রচার কৌশল, সবটাই সংগঠন তৈরি করে। ভারতীয় জনতা পার্টিতে সংগঠনের একটা সিস্টেম রয়ে꧂ছে। আমি রাজ্যের কোর কমিটির সদস্য। সেই কোর কমিটির মিটিংয়ে যদি ডাকে। সেখানে আমাকে কিছু বলতে বলা হয়। বা আমি মনে করি যে বলব বা নীরব থাকব, সেখানেই বলব। আমি সামগ্রিকভাবে এ ব্যাপারে পার্টির প্রতিনিধিত্ব করি না। সংগঠন করি। এব্যাপারে শমীকদা বলতে পারবেন।’
আরও পড়ুন - আগ্নেয়াস্ত্র সরাতেই আধিকারিকদের ওপর হামলা চালায় শাহজাহান, চার্জশ🍸িটে দাবি EDর
এমনকী তিনি যে দলের কাছ থেকে কোনও খরচ নেন না তাও কৌশলে মনে করিয়ে দেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘চারটি বিধানসভা উপনির্বাচনে প্রার্থী ঘোষণার পরে দলের রাজ্য দফতর থেকে যদি প্রচারের জন্য যদি আমাকে বলে আমি আমার নিজের গাড়িতে, নিজের পয়সায় তেল ভরে আমি যাব। আ♕র রায়গঞ্জে প্রচারে যেতে বললে তো ꦜসেদিন ফিরতে পারব না। রাতে মালদায় হোটেল খরচটাও আমি দেব। আমাকে যেখানে যেখানে প্রচারে যেতে বলা হয় আমি যাই। সংগঠিত করার কাজটা আমার নয়। কেবল আমার জেলায় পার্টির সংগঠকরা রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশিকাও যেমন মেনে চলেন, তেমন আমার পরামর্শও শোনেন। এর বাইরে সাংগঠনিক ব্যাপারে আমি কোনও দিন হস্তক্ষেপ করি না। ভবিষ্যতেও করার কোনও ইচ্ছা নেই।’