মঙ্গলবার আচমকাই মৃত্যু হয় মুনমুন সেনের স্বামী ভরত দেব বর্মার। ৭০ বছরের সুচিত্রা-কন্যার জীবনে নেমে এসেছে বৈধব্য যন্ত্রণা। বাবাকে হারিয়ে ভেঙে পড়েছেন রিয়া ও রাইমা। মঙ্গলবার সকালে বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডের বেদান্ত আবাসনের বাড়িতেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন ত্রিপুরার রাজ-পরিবারের বংশধর ভরতবাবু। দুর্ভাগ্যবশত শেষ সময়ে স্বামীর পাশে থাকতে পারেননি মুনমুন সেন। তিনি ও বড় মেয়ে রাইমা সেই সময় ছিলেন দিল্লিতে। আরও পড়ুন-‘যে আমাদের চালাত, সেই চলে গেল…’! কান্নায় ফুলে চোখমুখ♈, স্বামী হারিয়ে মিডিয়াকে বললেন 🌱মুনমুন
ভরত বর্মার মৃত্যুর খবর পেয়েই মুনমুন ꦜসেনের বাড়িতে ছুটে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন বাবার মরদেহের পাশে বসে ছোট মেয়ে রিয়া। শোকস্তব্ধ রিয়াকে আগলান মুখ্যমন্ত্রী। স্বামীর মৃত্যুর পর মুনমুন সেন ও রাইমা সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে এলেও, দেখা মেলেনি ছোট মেয়ে রিয়ার। তবে বুধবার সোশ্যাল মিডিয়ায় বাবাকে হারানোর যন্ত্রণা নিয়ে মুখ খুললেন রিয়া সেন। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানাতে ভুললেন না।
ভরত দেব বর্মার মৃত্যু নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যে শোকসংবাদ এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছিলেন, তা শেয়ার করে রিয়াꦕ লেখেন, ‘আমরা আপনার সহমর্মিতা থেকে শক্তি পাই বারংবার। আপনার কাছে আমার অশেষ কৃতজ্ঞতা পরিবার হিসাবে পাশে থাকার জন্য…’।
ভরত দেব বর্মার মৃত্য়ুকে আত্মীয়বিয়োগের সঙ্গে তুলনা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, 'ভরত আমাক⛦ে খুব ভালোবাসতো। এটা বিরাট ক্ষতি, হঠৎ করেই মারা গেছে। আমি নিজের একজন শুভাকাঙ্খী, একজন আত্মীয়কে হারালাম।’ আফসোসের সুরে তিনি আরও বলেন, ‘হঠাৎ করেই চলে গেল, বেশি বয়সও তো হয়নি।পরশু দিনও পার্টি করেছে। এমন কিছু অসুস্থ ছিলেন না। এখন শীতকাল আসছে তো হঠাৎ করেই স্ট্রোকটা বা হার্ট অ্যাটাকটা হয়ে যায়’।
কান্না ভেজা চোখে মঙ্গলবার রাতে সংবাদমাধ্যমকে মুনমুন সেন বলেন, ‘যে আমাদের চালাত, সেই চলে গেল। এখন থেকে আমাদের জীবনটাই বদলে গেল’। রাইমাকে আফসোসেরꦛ সুরে বলতে শোনা যায়, ‘শেষ সময়ে বাবার সঙ্গে থাকতে পারলাম নꦜা। খুব মিস করব’।
এদিন ভরত দেববর্মার মৃত্যুর খবর পেয়ে রিয়া ও রাইমার টলিপাড়ার বন্ধুরাও পৌঁছেছিলেন। দেখা মিলেছে, আবির চট্টোপাধ্যায়, ঋতুপর্ণা সেনগুপ🥃্ত, ঊষা উত্থুপদের। পৌঁছেছিলেন তেলঙ্গানার রাজ্যপাল জিষ্ণু দেব বর্মাও। কেওড়াতলা মহাশ্মশানে ভরত দেব বর্মার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।