২০১০ সাল থেকে পশ্চিমবঙ্গে জারি করা সমস্ত OBC শংসাপত্র বাতিল করে কলকাতা হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছে যা যে কোনও উপায়ে লাগু করবে ভারতীয় জনতা পার্টি। বুধবার সন্ধ্যায় সংবাদসংস্থা এএনআইকে একথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শাহ বলেন, পিছিয়ে থাক সম্প্রদায়ের সংরক্ষণ ছিনতাই করে মুসলিমদের দিয়♉েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি আদালতের এই রায়কে স্বাগত জানা𒁃য়।
আরও পড়ুন: প্র🐻ধানমন্ত্রীর উদ্বেগ প্রকাশের ২৪ ঘণ্ট🐠া পরেও রামকৃষ্ণ মিশনে হামলা নিয়ে কিছু জানেনই না মমতা
পড়তে থাকুন: ✃রাবণের রাজত্বে সাধুদের ওপর তো হামলা হবেই: সুকান্ত মজুমদার
অমিত শাহ বলেন, ‘এই মামলাটি ১১৮টি মুসলিম জাতিকে পদ্ধতি অনুসরণ না করেই, পশ্চাদপদতার কোনও সমীক্ষা ছাড়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় OBC সংরক্ষণ দিয়ে দিয়েছেন। আদালত বিষয়টির গুরুত্ব বুঝেছে।⛄ তাই ২০১০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত যত শংসাপত্র জারি করা হয়েছে তাদের স্থগিতাদেশ দিয়েছে আদালত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোটব্যাঙ্কের জন্য পಌিছিয়ে থাকা সম্প্রদায়ের সংরক্ষণে ডাকাতি করে সেই সংরক্ষণ মুসলমানদের দিয়েছেন। আমি হাইকোর্টের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই।’
এর পরই মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করেন তিনি। বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, আমরা হাইকোর্টের এই সিদ্ধান্তকে মানি না। আমি বাংলার জনতাকে প্🌺রশ্ন করতে চাই, কোনও মুখ্যমন্ত্রী বা সাংবিধানিক পদে বসে থাকা কোনও এমন ব্যক্তি হতে পারেন যিনি বলতে পারেন আমি আদালতের নির্দেশ মানি না? কী ধরণের মানসিকতার মধ্য দিয়ে বাং🌠লার গণতন্ত্র এগিয়ে যাচ্ছে? আমি এর কঠোর নিন্দা করছি। হাইকোর্টের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। আমরা এটা নিশ্চিত করব যে হাইকোর্টের নির্দেশ কার্যকর হোক। আর পশ্চাদপদ শ্রেণির যে সব মানুষের সত্যিই সংরক্ষণ প্রয়োজন তারা নিজেদের অধিকার পাক। তোষণ ও ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতির জন্য কাউকে সংরক্ষণের সুবিধা পেতে আমরা দেব না।’
আরও পড়ুন: আদালতের রায় মানি না, OBC সংরক্ষণ চলছে, চলবে, প্রকাশ্য ম🐎ঞ্চে ঘোষণা🧸 মুখ্যমন্ত্রীর
আদালতের রায়কে হাতিয়ার করে ইন্ডি জোটকেও আক্রমণ করতে ছাড়েননি শাহ। তিনি বলেন, ‘এই গোটা ইন্ডি জোট, কংগ্রেস তেলেঙ্গানা ও কর্নাটকে ওবꦛিসি সংরক্ষণে ছিনতাই করেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওবিসি সংরক্ষণ ছিনতাই করেছেন। পিছিয়ে থাকা শ্রেণি, তফশিলি জাতি ও উপজাতির সংরক্ষণ ছিনতাই করে এরা সংখ্যালঘুদের, বিশেষ করে মুসলমানদের দিতে চায়। ভারতীয় জনতা পার্টি এর কঠোর বিরোধিতা করছে। কারণ সংবিধান ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ দেওয়ার অনুমতি কাউকে দেয় না।’