লাস্যময়ী মহিলা সুদান থেকে কলকাতা বিমানবন্দরে𝓰 এসে নামলেন। একঝলকে সেদিকেই চোখ পড়েছিল সবার। কারণ স্পষ্ট বক্ষ বিভাজিকা দেখা যাচ্ছিল। কিন্তু তাতে চেকিং আটকানো যায়নি। মহিলার চালচলন বেশ সন্দেহজনক লাগে কর্তব্যরত নিরাপত্তারক্ষীদের। মহিলা নিরাপত্তারক্ষীরা এগিয়ে আসেন তাঁকে চেকিং করতে। আর ওই বিদেশি মহিলাকে তল্লাশি চালাতেই চোখ কপালে ওঠে। কারণ বিদেশি মহিলার অন্তর্বাস এবং গোপনাঙ্গ থেকে সোনা উদ্ধার হয়েছে।
ঠিক কী ঘটেছে কলকাতা বিমানবন্দরে? বিমানবন্দর সূত্রে খবর, শনিবার প্রা🦂য় রাত ৮টা নাগাদ বিমানে করে সুদানের মহিলা নাগরিক লামিস আব্দেলরাজেগ শরিফ কলকাতা বিমানবন্দরে নামেন। সবাইকে চমকে দেওয়ার মতো পোশাক তাঁর শরীরে। সেখান থেকে বক্ষ বিভাজিকা দেখা যাচ্ছে। আধুনিকতায় মোড়া এই নারী অনেকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন। এই পরিস্থিতিতে বিমানবন্দরে নিযুক্ত অভিবাসন দফতরের আধিকারিকরা পাসপোর্ট ভিসা চেক করে কলকাতায় প্রবেশের অনুমতি দেন। আর অনুমতি পেয়েই ওই মহিলা বিমানবন্দরের গ্রীন চ্যানেল অতিক্রম করেন।
তারপর ঠিক কী ঘটল? শুল্ক দফতর সূত্রে খবর, ওই মহিলা এদিক–ওদিক তাকাচ্ছিল। এই দেখে শুল্ক দফতরের এয়ার ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের অফিসারদের সন্দেহ হয়। তখনই ওই মহিলা🐬কে দাঁড়াতে বলেন তাঁরা। তখন ওই মহিলা ইংরেজি ভাষায় অনর্গল তর্ক জুড়ে দেন। বাধ্য হয়ে আটক করেন তাঁরা। এরপরে চলে জিজ্ঞাসাবাদ। মহিলার কথায় বিস্তর অসঙ্গতি মেলায় মহিলা অফিসাররা তল্লাশি চালা♛ন। তখনই বেরিয়ে আসে সোনা। অন্তর্বাসের ভিতর থেকেও দু’টি প্যাকেট উদ্ধার করা হয়।
কী ছিল ওই দুটো প্যাকেটে? গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ওই বিদেশি মহিলার বক্ষযুগল থেকে সোনার গুঁড়ো–সহ প্যাকেট উদ্ধার করা হয়েছে। যা অন্তর্বাস দিয়ে আটকে রাখা ছিল। এমনকী দুটি সোনার গুড়ো ভর্তি ক্যাপসুল গোপনাঙ্গের ভিতর থেকে উদ্ধার করা হয়। মহিলাকে জেরা করতে তিনি জানান, শরীরের ভিতরে আরও ক্যাপসুল রয়েছে। তখন তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়🙈 ভিআইপি রোডের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানে তাঁর শরীরের পরীক্ষা করা হয়। এখনও তিনি ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অন্তর্বাস থেকে মোট ১ হাজার ৯৩০ গ্রাম সোনা উদ্ধার হয়েছে। যার বাজার মূল্য ৯৬ লক্ষ ১২ হাজার ৪৪৬ টাকা।