লোকসভা নির্বাচনের পর কয়েকজন বিধায়ক এখন সাংসদ হয়েছেন। আবার মন্ত্রীও সাংসদ হয়েছেন। তাই এখন রাজ্য মন্ত্রিসভায় রদবদল করতে চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আবার বেশ কিছু নতুন বিধায়ক হয়েছেন। উপনির্বাচনে জেতার পর বিধায়ক সংখ্যা বেড়েছে। তাঁদের মধ্যে থেকেও কাউকে মন্ত্রিসভায় আনা হতে পারে। তাই এই রদবদল সংক্রান্ত ফাইল নবান্ন𝔉 থেকে পাঠানো হয়েছে রাজভবনে। কিন্তু দু’সপ্তাহ কেটে গেলেও সেই ফাইলে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সই পড়েনি। ফলে গোটা প্রক্রিয়া থমꦡকে আছে।
এই ঘটনায় প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন রাজ্যপাল সই করেননি? এই প্রশ্নের ব্যাখ্যাও দেওয়া হয়নি বলে সূত্রের খবর। সুতরাং এই ফাইলগুলি নিয়ে এখন অন্ধকারে নবান্ন। যদিও কদিন আগে প♕্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্বয়ং রাজ্যপালদের সঙ্গে রাজ্য সরকারগুলির সমন্বয় গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন। সুপ্রিম কোর্ট একাধিকবার ফাইল আটকে রাখার জন্য রাজ্যপালকে ভর্ৎসনা করেছে। তারপরও এখন বাংলার রাজ্যপাল যেভাবে মন্ত্রিসভায় রদবদলের মতো গুরুত্বপূর্ণ ফাইল আটকে রেখেছেন সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য কি তাহলে মানলেন না রাজ্যপাল?⛦ উঠছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুন: ‘মা উড়ালপুলে’ গাড়ি দা🧜ঁড় করানো যাবে না, জরিমানা–সহ নির্দেশিকা জারি কল👍কাতা পুলিশের
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এখন সংঘাতের সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি, ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। তা নিয়ে মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী। তখন পাল্টা কলকাতা হাইকোর্টে মানহানির মামলা করেন রাজ্যপাল। এই আবহে মন্ত্রিসভায় রদবদলের জন্য রাজ্যপালের অনুমতি চেয়ে গত ১৮ জুলাই রাজভবনে চিঠি পাঠায় নবান্ন। ক❀িন্তু তারপরওᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚ রাজভবন থেকে রাজ্যপালের স্বাক্ষরিত ফাইল আসেনি। কবে সেই ফাইল পাওয়া যাবে? তা নিয়েও কিছুই জানানো হয়নি রাজ্য সরকারকে। দু’সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও কোনও সাড়াশব্দ মেলেনি রাজভবনের তরফে।
এছাড়া এই বিষয়টি বিধানসভার অন্দরেও আলোচনা হয়েছে। রাজ্যপালকে একাধিক ফাইল বিধানসভা থেকেও পাঠানো হয়েছে। যদিও꧟ তা ফেলে রাখা হয়েছে। কোনও উত্তর আসেনি রাজভবন থেকে বলে অভিযোগ। এই নিয়ে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। আর এবার সা🐼ংবাদিকদের পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘রাজ্য সরকারের কাজ স্বাভাবিক রাখার ক্ষেত্রে রাজ্যপালের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এখানে রাজ্যপালের ভূমিকায় কেমন করে কাজ ব্যাহত হয় সেটা সবাই বুঝতে পারছেন। এটা করে আখেরে তিনি রাজ্যের ক্ষতি করছেন।’