রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস আজ বিধানসভায় ভাষণ পাঠ শুরু করার কিছুক্ষণের মধ্যেই স্লোগান দিতে শুরু করেন বিজেপির বিধায়কেরা। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে রাজ্যপালের পাঠ সবটা শোনাই যাচ্ছিল না। তবে বিচলিত না হয়ে রাজ্যপাল নিজের ভাষণ পাঠ করে চলেন। একদিকে বিরোধীদলের স্লোগান অন্যদিকে রাজ্য𒁏পালের ভাষণ—টানটান উত্তেজনায় চলতে থাকে। রাজ্যপালের ভাষণে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সরকারের প্রশংসা শোনা যায়। আর তাতেই সরব হয় বিজেপি। তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের বিরোধী স্লোগান তুলতে থাকেন তাঁরা। তবে হট্টগোল 💃হলেও ভাষণ পড়া বন্ধ করেননি রাজ্যপাল।
ঠিক কী বক্তব্য রেখেছেন রাজ্যপাল? নয়া রাজ্যপালের বিরুদ্ধে এতদিন সংবাদমাধ্যমে মন্তব্য করতেন বিজেপি নেতারা। আজ সরাসরি বিধানসভায় তাঁর বক্তব্য রাখতে বাধা দিলেন তাঁরা। তবে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে বিধানসভা চত্বর থেকে বেরিয়ে যান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজ্যপাল পাঠ করেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে বিগত বছর শান্তিপূর্ণভাবে কেটেছে। রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে সরকার সর্বদা তৎপর। আনন্দ ও⛄ সৌহার্দ্যের বাতাবরণে সব ধর্মীয় উৎসব পালিত হয়েছে। অতিমারির সময়ে মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘব করেছে রাজ্য সরকার।’ এটাই মেনে নিতে পারেনি বিজেপি বিধায়করা।
আর কী দেখা গেল? টানা ১১ ম🍰িনিট স্লোগান চালিয়ে যায় বিজেপি। তাতে যেমন ছিল ‘রাজ্যপাল হায় হায়’ তেমন ছিল ‘পার্থ চোর–পরেশ চ꧂োর, তৃণমূলের সবাই চোর।’ যদিও এসবে কর্ণপাত করেননি রাজ্যপাল। তিনি নিজের কাজ সেরে চলেন। এই পরিস্থিতিতে হালে পানি না পেয়ে দুপুর ২টো ১৪ মিনিট নাগাদ বিধানসভা কক্ষ ছেড়ে𒁃 বেরিয়ে যায় বিজেপি পরিষদীয় দল। তারপর বিরোধী শূন্য বিধানসভায় বক্তৃতা পাঠ করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।