রাজ্যের অন্যান্য পুরসভার নির্বাচন এ🍸ই বছর হলেও জট কাটেনি হাওনা নিয়ে। কারণ হাওড়া পুরসভা সংশোধনী বিলে সই করেননি রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় সব নথি রাজ্যপালের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন। তারপরও বিলটিতে সই করেননি রাজ্যপাল। এই নিয়ে রাজ্য–রাজনীতি বেশ ঘোলাটে হয়ে যায়। এবার বিলটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চেয়েছেন রাজ্যপাল। যদিও বিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছে। এখন হাওড়া পুর বিল নিয়ে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের সঙ্গে আলোচনা করতে চান জগদীপ ধনখড়।
সম্প্রতি বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘উনি কেন বিলটি আটকে রেখেছেন তা বলতে পারব না। বিষয়টি তিনিই ভালো বলতে পারবেন।’ এই বিষয়ে অবশ্য রাজপাল বলেন, ‘হাওড়া ও বালি পুরসভার বিলটি বিচারাধীন রয়েছে। বিধানসভার অধ্যক্ষের জবাব আসেনি। উল্টে আমা📖র বিরোধিতা করা হচ্ছে। প্রয়োজন হলে বিলটি রাষ্ট্রপতির কাছ পাঠাব।’
এই আকচা–আকচির মধ্যেই নতুন বছরের প্রথমদিন, শনিবার একটি টুইট করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। কী লিখেছেন সেখানে? এদিন রাজ্যপাল লেখেন, ‘হাওড়া মিউনিশিপ্যাল অ্যামেন্ডমেন্ট বিল সম্পর্কিত সব তথ্য অ্যাডভোকেট জেꦕনারেলকে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। তিনি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রাজ্যপালকে জানাবেন। এটা যত দ্রুত সম্ভব ক🤡রতে হবে।’ এখন বিচারাধীন রয়েছে যে বিষয় তা নিয়ে কেন রাজ্যপাল নির্দেশ দিলেন সেটা বোঝা যাচ্ছে না।
বিষয়টি ঠিক কী? জানা গিয়েছে, হাওড়া পুরসভায় মোট ওয়ার্ড ছিল ৬৬টি। সেখান থেকে ১৬টি ওয়ার্ডকে নিয়ে তৈরি হয়েছে বালি পুরসভা। রাজ্য সরকারের দাবি, একেবারে নীচুস্তরে সরকারি পরিষেবা পৌঁছে দিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু রাজ্যপাল তা মানতে চাননি। ফলে বিলটি নিয়ে💙 সংঘাত বাধে রাজ্য সরকার এবং রাজ্যপালের মধ্যে। সেটি নিয়ে মা꧙মলা হয়েছে। এখন বিলটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাইছেন রাজ্যপাল।