স্বাস্থ্যভবনে যাওয়ার রাস্তায় ধর্নায় বসেছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। আর সেই রাস্তার চারদিকে স্লোগানে স্লোগানে ভরপুর। সেখানে রাজ্য সরকারকে একেবারে তুলোধোনা করা হয়েছিল। কোথাও লাল দিয়ে লেখা, কোথাও আবার কালো দিয়ে লেখা। পিচের রাস্তাতেও লেখা ছিল স্লোগান। শুক্রবার ধর্না তুলেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। আর শনিবার সকাল থেকেই শুরু হল স্লোগান মোছার কাজ। এসব দেখে শুনে আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা বললেন, আলকাতরা দিয়ে স্লোগান মুছে কিছু হবে না। মা💮নুষের মনে যে প্রতিবাদের বীজ বপন করা হয়েছে সেটা তোলা সম্ভব নয়।
লেখা ছিল নানা ধরনের স্লোগান। কোথাও লেখা ছিল সিটি অফ জয় নয়, সিটি অফ ভয়𓆉। রাস্তায় লেখা ছিল উই ওয়ান্ট জাস্টিস। সেই লেখাও মুছে দেওয়া হয়েছে আলকাতরা দিয়ে।
বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্য়ায় বলেন, আলকাতরা দিয়ে প্র𒉰ত🐎িবাদের কণ্ঠস্বরকে ঢেকে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এটা করা যাবে না।
লাল দিয়ে লেখা ছিল স্লোগান আরজি নয়, লড়াই কর। লেখা ছিল অভয়ার বিচার চাই। উৎসবে ফিরছি না। ঘাসফুল ছিঁড়♊ছি না। বিচার তুমি দেবে না। রাজপথ ছাড়ব না। কেন শবদেহ দ্রুত দাহ করা হল? এমনই নানা প্রশ্ন তোলা হয়েছিল স্লোগানে স্লোগানে। তবে সেসব আজ অতীত।
শুক্রবার এলাকা থেকে সরে যান আন্দোলনকারীরা। এরপর ধাপে ধাপে সেখানে চলে আসেন রঙ কꦡরার লোকজন। একে একে সমস্ত স্লোগান মুছে দেওয়া হয়। রাস্তায় আলকাতরা দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয় স্লোগান। রাস্তার পাশে দেওয়ালে যে স্লোগান লেখা ছিল সেগুলি নীল সাদা📖 দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। ফুটপাতের পাশে নতুন রঙ করা হয়।
স্লোগান লেখা ছিল কালীঘাটের ময়না, লাইভ হতে দেয় না। স🍸েই স্লোগানও মোছা হয়েছে। স্লোগান লেখা ছিল বিচার কই? এই প্রশ্নটা আপামর দেশবাসীর মনে। প্রতিবাদের সেই স্লোগানও মুছে ফেলা হয়েছে। যেখানে যত স্লোগান ছিল সব মোছা হয়েছে। একঝলক দেখলে বোঝ✱াই যাচ্ছে না এখানে এত স্লোগান ছিল। স্থানীয় একের পর এক দেওয়ালে স্লোগান লেখা হয়েছিল। সব মোছা হয়েছে। এমনকী দরজাতেও লেখা হয়েছিল স্লোগান। সেই দরজাতেও নতুন রঙের পোঁচ পড়েছে।
পুরসভার সাফাই কর্মীরা সকাল থেকে কাজে নেমে পড়েন। এলাকা সাফাই করার ক♛াজ শুরু হয়। তবে আন্দোলনকারীরা বলছেন, স্লোগান মুছলেও প্রতিবাদের ভাষা মোছা যাবে না।