মোদী রাজ্যের বাসিন্দা নিখোঁজ ছিলেন। আর তাঁকে পাওয়া গেল দিদির রাজ্যে। শুধু তাই নয়, ইনি একজন মহিলা। যিনি নিখোঁজ ছিলেন দীর্ঘ ১১ বছর। এই ১১ বছর ওই মহিলা কোমায় ছিলেন। দিদির রাজ্যে হঠাৎই কোমা থেকে বেরিয়ে এসেছেন তিনি। এখানে কোনও রাজনীতির বিষয় নেই। শুধু আছে মানবিকতা এবং খোঁজ পেয়ে পরিবারের হাতে ফেরত দেওয়ার উদাহরণ। গুজরাটের গোধরা জেলার পঞ্চমহল থেকে নিখোঁজ হন ওই মহিলা। তাঁকে পাওয়া গিয়েছে কলকাতায়। ১১ বছর পরে হঠাৎই কোমা থেকে বেরিয়ে এসে পুলিশের সাহায্যে ওই মহিলা গোধরার প্রত্যন্ত গ্রামে ভামাইয়ায় তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পেরেꦯছেন।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছিল? সালটা ২০১৩। গীতা বড়িয়া নামের ওই মহিলা নিখোঁজ হন। কোনও খোঁজ না পেয়ে দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর তাঁর পরিবার গীতার ফ൲িরে আসার আশা ছেড়ে দেয়। কিন্তু এত বছর বাদে হঠাৎই ওই পরিবার কলকাতার একটি মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট থেকে ফোন পান। এই মানসিক হাসপাতালে গীতা কোমাচ্ছন্ন অবস্থায় ছিলেন। পঞ্চমহল জেলা পুলিশ গীতার পরিবারকে এবার কলকাতায় আসতে বলেন এবং তারপর তাঁকে ভামাইয়াতে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করে। সেখানে তাঁর সন্তান এবং পরিবার বসবাস করে।
তারপর ঠিক কী ঘটল? এই নিখোঁজের খোঁজ পেয়ে খুশি গীতার পরিবার। ইন্স🌞পেক্টর প্রবীণ অশোদা বলেছেন, ‘একজন পুলিশ অফিসারের সঙ্গে পরিবারটি আগামীকাল বৃহস্পতিবার ট্রে🌱নে করে কলকাতা যাবে। জেলা প্রশাসন মানবিক কারণে তাঁদের যাতায়াতের ব্যবস্থা করেছে। সরকারি কাজকর্ম শেষ হলে তাঁরা গীতা বড়িয়াকে তাঁর গ্রামে ফিরিয়ে আনবে’। তারিখটা ১০ ফেব্রুয়ারি ছিল। কলকাতার পাভলভ ইনস্টিটিউটের একজন চিকিৎসক পঞ্চমহল জেলা পুলিশ কন্ট্রোল রুমে পৌঁছন। সেখানে গীতার বিষয়ে তাঁদের জানান। তিনি জানান যে, গীতা কোমা থেকে বেরিয়ে চেতনা ফিরে পান এবং তাঁর পরিবারের বিষয়ে মনে আছে সব কথা।
আরও পড়ুন: 🐷সরস্বতীর হাতে তানপুরা উঠে এল পুজোর🧔 দিনে, বীণাপানির বীণা এখন লুপ্ত হচ্ছে
আর কী জানা যাচ্ছে? এই কথা বলার পর বিষয়টি🐼 নিয়ে আরও খোঁজ নেওয়া হয়। আর পুলিশের সহায়তায় হাসপাতাল, গ্রাম এবং পরিবারের বিবরণ যাচাই করা হয়। তারপর যোগাযোগ করার পর চিকিৎসকরা গীতা ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে ভিডিয়ো কলের ব্যবস্থা করেন। ২০১৩ সালে পরিবারের সঙ্গে এসে এক বিয়েবাড়িতে নিখোঁজ হন গীতা। পুলিশ এখন জানার চেষ্টা করছে🐽 কেমন করে গীতা কলকাতায় এসেছিলেন। গীতার তিন সন্তান আছে। দুই ছেলে ও এক মেয়ে। গীতার হারিয়ে যাওয়ার ১১ বছর পর তাঁদের মায়ের হালকা স্মৃতি রয়েছে। কয়েক বছর আগে গীতার স্বামীর মৃত্যু হয়েছে।