নামঃ সঞ্জয় রায়
বাড়িঃ ভবানীপুর
পেশাঃ সিভিক ভলান্টিয়ার।
আরজিকরে মহিলা চিকিৎসক খুনে গ্রেফতার করা হয়েছে সেই সিভিক ভলান্টিয়ারকেই। কলকাতা পুলিশের আওতায় সে সিভিক ভলান্টিয়ারের পুলিশের ফোর্থ ব্যাটেলিয়নের ব্যারাকে থাকত বলে খবর। একাধিক বিয়ে। শেষ স্ত্রীর ক্যানসারে মৃত্যু হয়েছিল। এমনকী রীতিমতো প্রভাবশালী হয়ে উঠেছিল সে। আরজিকরের আ🏅নাচে কানাচে তার যাতায়াত ছিল। অত রাতে ঢুকেছিল হাসপাতালে। ওয়ার্ড দিয়ে চলে গেল সেমিনার হলে। বারণ করবে সাহস ক🅷ার!
রীতিমতো দাপুটে সিভিক। এলাকায় পুলিশ বলেই পরিচিত ছিল। আর সেই দাপটেই ঘুরত ♌হাসপাতালে।
এদিকে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গিয়েছিল চেস্ট মেডিসিনের ওয়ার্ডের মধ্য় দিয়ে সে যাচ্ছে সেমিন🥂ার হলের দিকে। সেই সেমিনার হলে খুন হওয়া চিকিৎসকের দেহের পাশে পড়েছিল একটি সাদা রঙের হেডফোন।
রাত তিনটের সময় এক রোগীর চিকিৎসা সংক্রান্ত ব্যাপারে সেই সেমিনার হলে এসেছিলেন অপর এক জুনিয়র চিকিৎসক। তিনি পরে জানিয়েছিলেন রাত তিনটের সময় দেখা গিয়েছিল লাল রঙের কম্বল জড়িয়ে ঘুমোচ্ছেন মহিলা চিকিৎসক।
এরপরেই সেমিনার হলের ভেতর হাড়হিম হত্যাকাণ্ড। তবে তদন্তের মোড় ঘুরিয়ে দিল সঞ্জয়ের হেডফোন। পুলিশ সিসি ক্যামেরা দ🍸েখে সঞ্꧙জয়কে গ্রেফতার করার পরেই ব্লু টুথটা কানেক্ট করার পরেই দেখা যায় সেটা সঞ্জয়ের। আর ফোন খুলতেই দেখা যায় প্রচুর পর্নভিডিয়ো রয়েছে তার ফোনে।
অভিযোগ, মহিলা পুলিশ কর্মীদের ফোন করে উত্যক্ত করত𓄧 এই সঞ্জয়। এমনকী কলকাতা পুলিশের একটি সমাজকল্যাণমূলক সংগঠনের আওতায় ছিল এই সঞ্জয়। সেই সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে ভয়াবহ অভিযোগ। তবে পুলিশের টানা জেরায় ভেঙে পড়েছিল সঞ্জয়।
তবে এখানে দুটি প্রশ্ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত, কেবলমাত্র যৌন লালসা মেটানোর জন্যই কি সঞ্জয় এই ঘটনা ঘটিয়েছিল? মহিলা চিকিৎসক যে ওখানে ঘুমোচ্ছেন তা জানল কীভাবে সঞ্জয়? আর কেউ কি যুক্ত ছিল এই খুনের ঘটনায়? অনেকদিন ধরেই ক🎀ি সে টার্গেট নিচ্ছিল মহিলা চিকিৎসকদের?