আজ কালীপুজো। আর তা নিয়ে মেতে উঠেছেন বাংলার মানুষজন। কিন্তু এই আবহে নানা চেষ্টা করেও রোখা গেল না নিষিদ্ধ শব্দবাজি। কলকাতার রাজপথে এবং অলিতে গলিতে দেদার ফাটল নিষিদ্ধ শব্দবাজি। সুতরাং সবুজ বাজির আড়ালে যে নিষিদ্ধ শব্দবাজি বিক্রি হয়েছে সেটা পুলিশ নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। উল্টোডাঙা বাজারে লম্বা টেবিল পেতে তুবড়ি, চরকি এবং নিষিদ্ধ শব্দবাজি বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ। তাহলে তা পুল🍬িশ দেখতে পাচ্ছে না কেন? উঠছে প্রশ্ন। তবে শুধু উল্টোডাঙা নয়, বিধাননগর থেকে শুরু করে সল্টলেক এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে বিক্রি হচ্꧑ছে নিষিদ্ধ শব্দবাজি।
শহরের চারটি বৈধ বাজি বাজার আছে। সেখান থেকে সবুজ বাজি বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু তারপর অবৈধ পথেও বাজি বিক্রি করা হচ্ছে। আইনত নিষিদ্ধ এভাবে বাজি বিক্রি করা। পুলিশে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু তারপরও এই কাজ হয়েই চলেছে। নিষিদ্ধ বাজি বিক্রি হতে দেখা যাচ্ছে— বেলেঘাটা, কসবা, যোধপুর পার্ক, যাদবপুর, বেহালা, গড়িয়া, নারকেলডাঙা, চাঁদনি চক এলাকায়। কিন্তু পুলিশ কেন 🅰ধরপাকড় করছে না? এই প্রশ্ন তুলেছেন অনেক শুভবুদ্ধি সম্পন্ন নাগরিকরা। খোদ লালবাজার দমকল কেন্দ্রের বিপরীত দিকের ফুটপাতেও দেদার বিক্রি হয়েছে নিষিদ্ধ বাজি। সব ক্ষেত্রেই একটা প্রশ্ন, পুলিশ কেন পদক্ষেপ করছে না?
আরও পড়ুন: ‘দফা এক দাবি এক অযোগ্য, অপদার্থ সভাপতির পদত্যাগ’, বর্ধমানে বিজেপি কার্যালয়ে পড়ল পোস্টার
কদিন আগে থেকেই নিষিদ্ধ শব্দবাজি ধরার জন্য কোমর বেঁধে নেমেছিল পুলিশ। ১৭০০ কেজি নিষিদ্ধ শব্দবাজি বাজেয়াপ্ত করেছিল পুলিশ। শুধু তাই নয়, ১৭ জনকে গ্রেফতার পর্যন্ত করা হয়েছিল। কিন্তু তারপর সবকিছু শিথিল হয়ে পড়ল। তাও কালীপুজোর প্রাক্কালেই। তাই দেদার ফাটতে শুরু করেছে নিষিদ্ধ শব্দবাজি। দক্ষিণ কলকাতার সার্দান অ্যাভিনিউ এলাকায়ও শব্দবাজির দাপট দেখা যাচ্ছে দু’দিন ধরে। তবে পুলিশের কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই। নিয়ম আছে, ১৫ কেজির বেশি বাজি বিক্রির ক্ষেত্রে অনুমতি লাগে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের। সেসব নিয়ম একদমই মানা হচ্ছে না। মঙ্গলবার ময়দানের বাজি বাজারে গিয়েছিলেন পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা। কিন্তু শহরের বায়ুদূষণ এখনই বেড়ে গিয়েছে।