কালীপুজো ও দীপাবলির প্রাক্কালে বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ আতসবাজি বাজেয়াপ্ত করা হল। ওয়াটগঞ্জ এবং দক্ষ꧋িণ বন্দর থানার পুলিশ এই বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ আতসবাজি বাজেয়াপ্ত করেছে। দুটি গাড়ি থেকে এক হাজার কেজির বেশি বাজি বাজেয়াপ্ত করা হ🐈য়েছে। পোর্ট ডিভিশনের বিশেষ টিম গোপন সূত্রে খবর পেয়ে খিদিরপুর মোড় এবং ডায়মন্ডহারবার রোডের ক্রসিংয়ে একটি সন্দেহভাজন গাড়িতে তল্লাশি চালায়। সেখানে ২৩ কার্টুন বাক্সের ভিতর একাধিক ব্র্যান্ডের নিষিদ্ধ আতসবাজির হদিশ পাওয়া যায়। যা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার বেশি রাতে শহরের দু’টি জায়গা থেকে প্রায় ১১০০ কেজি নিষিদ্ধ বাজি আটক করা হয়। একই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে দু’জন যুবককে। একজনের কাছ থেকেই মেলে ৮৭০ কেজি নিষিদ্ধ বাজি। ধৃত যুবকদের নাম শেখ সাহিল এবং মইদুল মল্লিক। তাদের গ্রেফতার করেছেন বন্দর ডিভিশনের এসএসপিডি’র গোয়েন্দারা। শেখ সাহিলের বাড়ি বজবজ এলাকায়। মইদুল মল্লিক থাকে তার আগে মহেশতলা এলাকায়। নিষিদ্ধ বౠাজির সঙ্গে তাদের দু’টি গাড়িও আটক করে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। কারণ এই নিষিদ্ধ আতসবাজির কোনও নথি তারা দেখাতে পারেনি।
আরও পড়ুন: ‘আমি দলকে বলেছিলাম, উপনির্বাচনে লড়ব না’, প্রার্থী না হওয়া নিয়ে অকপট দিলীপ
নথি দেখাতে না পারার পাশাপাশি সন্তোষজনক উত্তরও দিতে পারেনি তারা। খিদিরপুর ট্রাম ডিপোর সামনে মইদুল মল্লিক ধরা পড়ে। তার কাছ থেকে ২৪০ কেজি নিষিদ্ধ বাজি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে প্রথমে খবর আসে, ওয়াটগঞ্জ থানা এলাকার খিদিরপুর মোড়ে একটি পণ্যবাহী গাড়িতে করে পাচার করা হচ্ছে নিষিদ্ধ বাজি। গাড়ি আটকে তল⭕্লাশি করতেই উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ বাজি। গাড়ির চালক সাহিল কোনও বৈধ নথি দেখাতে পারেনি। আর পুলিশ নিষিদ্ধ বাজি বাজেয়াপ্ত𒉰 করে এবং তাকে গ্রেফতার করে।
আর ওই রাতেই পর পর দুটি গাড়ি থেকে নিষিদ্ধ বাজি মেলায় তা বাজেয়াপ্ত করা হয়। দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই নিষিদ্ধ বাজি অন্য জায়গা থেকে নিয়ে এসে শহর থেকে গ্রামবাংলায় চড়া দামে বিক্রি করা হয়। তারপর দেখা যায়, দীপাবলি বা কালীপুজোর রাতে দেদার শব্দবাজির দাপট। আর তাতে প্রাণ ওষ্ঠাগত অবস্থা হয়। ক🐬োনও বছཧরই এই শব্দবাজির দাপট রোখা যায় না। তার কারণ গোপনে পাচার হওয়া নিষিদ্ধ শব্দবাজি। এবার শুরু থেকেই ধরপাকড় করা হচ্ছে। তাতে একটা ফল মিলবে আশা করছে পুলিশ। আর বজবজ, মহেশতলা, নুঙ্গি–সহ দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকায় গোপনে এই নিষিদ্ধ শব্দবাজি বিক্রি করা হয়। কলকাতা থেকেও অনেকে গিয়ে তা কিনে আনেন।