কলকাতাকে লন্ডন আর দার্জিলিংকে সুইজারল্যান꧙্ড করার কথা বলেছিলেন খোদ তৃণ🌠মূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দাবি বিরোধীদের। এরপর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। বিরোধীরা এনিয়ে নানা কটাক্ষ করেন। তবে এবার জেনে নিন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম কী বললেন? তিনিও তুললেন সেই লন্ডনের প্রসঙ্গ।
ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, একটা চিঠি ডালহৌসিতে বাড়িতে বাড়িতে দিয়েছি। মানে যাদের হেরিটেজ সম্পত্তি আছে। একটা অনুরোধ করেছি। এলআইসির অনেকগুলো সম্পত্তি আছে। একাধিক কোম্পানির আছে। সামনেটা সুন্দর করে সাজিয়ে লাইটিং করতে বলেছি। ডালহৌসিটা যেন একটা হেরিটেজ জোন হতে পারে। রাতের বেলা গেলে কলকাতায় যারা বেড়াতে আসবেন তারা যাতে দেখেন যে… যেমন লন্ডনে গেলে আমরা দেখি …সের🔴কম এখ💫ানে করা হবে। মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছি। যাতে স্টেশনটাই এমন হয় যেন হেরিটেজ মনে হবে। রাইটার্স বিল্ডিংটাও সংস্কার করা হচ্ছে। লালদিঘির চারদিকে সংস্কার করে লাইটিং করা যায় সেজন্য বলেছি। মেট্রোর পাশে এলআইসিকেও চিঠি দিয়েছি।
কলকাতায় গাছ বসানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, স্কুল, অর্গানাইজেশন, এনজিও যারা শহরকে বাঁচাতে চান, শহরের আবহাওয়াকে ঠিক করতে হবে। প্রচুর গাছ বসাতে হবে। গ্যাস চেম্বার হয়ে যাচ্ছে শহর। আজ থেকে ২০ বছর বাদে শহরে সিওপিডি রোগী বেড়ে যাবে। পরের প্রজন্ম সুস্থভাবে থাকতে পারবে না। যদি আমরা সতর্ক না হই। আমফানে ২০ হাজার গাছ পড়ে গিয়েছিল। আমরা ৫০ হাজার গাছ লাগিয়েছি। কিন্তু সেই গাছ ছোট। সেগু🎐লো বাড়তে আরও পাঁচ বছর লাগবে। এক কোটি গাছ বসালে তবে শহর বাঁচবে। শুধু কেস করে কিছু হবে না। সংগঠিত বৃক্ষরোপন করুন। আমাদের অর্থের অবস্থা খুব খারাপ। তার মধ্য়েও আমরা চেষ্টা করছি। পাড়ায় পাড়ায় কাজটা করুন। আর্বান ফরেস্ট করতেই হবেই। আগামীদিনে কিন্তু দিল্লির থেকে খারাপ অবস্থা হবে কলকাতার। আবহাওয়া বদলাচ্ছে। সকলকে অনুরোধ করছি শহরকে বাঁচান। যেখানে সম্ভব গাছ লাগান। আবেদন ফিরহাদ হাকিমের।
প্রচন্ড বৃষ্টিতে বন্যা ভাসছে দিল্লি। রাজপথে জল। বিপর্যস্ত অবস্থা। এবার কলকাতাকে ঘিরেও বড় সতর্কবার্তা দিলেন মেয়র ফিরহꦑাদ হাকিম। কলকাতায় এখনই গাছ বসানোর উদ্যোগ না নি✨লে পরবর্তীতে কী ভয়াবহ পরিস্থিতি হতে পারে সেকথা উল্লেখ করেছেন তিনি। সেই সঙ্গেই সকলকে এব্যাপারে এগিয়ে আসার আহ্বান করেন তিনি।