আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনার পর থেকে তেতে উঠেছিল বাংলা। জুনিয়র ডাক্তার থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ এবং রাজনৈতিক নেতারাও সরব হয়েছিলেন। তখন সরব হতে দেখা গিয়েছিল চিকিৎসক তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শান্তনু সেনকে। যার জেরে তাঁর পদের উপর কোপ পড়ে ছিল। এবার সেই শান্তনু সেনই আইএমএ’র নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন। এই সংগঠনের রাজ্য শাখার সম্পাদক পদে মনোনয়ন পর্যন্ত জমা দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ। বহুদিন ধরেই আইএমএ’র রাজ্য সম্পাদক ছিলে♔ন শান্তনু। তবে এবার এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সেটা ঘোষণাও করে ছিলেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, চিকিত্সকদের সংগঠনে রাজনৈতিক নেতাদের থাকা উচিত নয়।
এবার সেই মন্তব্য এবং অবস্থান থেকে সরে এলেন শান্তনু সেন। কিন্তু কেন অবস্থান পরিবর্তন করলেন শান্তনু? এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের চিকিত্সক নেতা শান্তনু সেন বলেন, ‘আইএমএ চিকিত্সকদের সবচেয়ে বড় সংগঠন। আমি এই সংগঠনের সর্বকনিষ্ঠ সহ–সভাপতি থেকে এসেছি। আমি বহুদিন রাজ্য সম্পাদক পদেও আছি। এবার আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, রাজ্য সম্পাদক পদে বা আইএমএ’র নির্বাচনে অংশ নেব না। আমি তা ঘোষণাও করেছিলাম। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে রাজ্যের অনেক সিন🎐িয়র চিকিত্সক, সিনিয়র লিডার এবং অনেক ব্রাঞ্চ থেকে এমনভাবে অনুরোধ করতে থাকে, তাদের এত অনুরোধের কারণে একপ্রকার বাধ্য হয়েই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: হেপাটাইটিস–বি নির্মূল করার ক্ষেত্রেও এগিয়ে বাংলা, সমীক্ষার তথ্য তুলে ধরলেন মমতা
শান্তনু সেন একদা আরজি কর হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির সভাপতি ছিলেন। এরপর আরজি কর হাসপাতালের ঘটনা নিয়ে তিনি সরব হয়েছিলেন। তখন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্রের পদ চলে যায় শান্তনু সেনের। কলকাতা পুরসভা থেকেও তাঁকে সরে যেতে হয় বলে অভিযোগ। এবার চিকিৎসকদের সংগঠনের নির্বাচনে লড়ছেন তিনি। সেক্ষেত্রে দলের অনুমতি আছে তো? শান্তনু সেনের বক্তব্য, ‘আইএমএ একটি অরাজনৈতিক সংগঠন।ꦯ তার সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। আগে যখন রাজ্য সভাপতি ছিলাম, তখনও কোনও প্রশ্ন ওঠেনি। আইএমএ’র সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক দলের সম্পর্♛ক নেই।’