বাউন্সার নিয়োগ করে হয়েছিল ভোটগণনা। হইচই পড়ে গিয়েছিল রাজ্যের চিকিৎসক মহলে। IMAএর রাজ্য শাখার সেই নির্বাচন বাতিল বলে ঘোষণা করল সংস্থার কেন্দ্রীয় শাখায়। ওই নির্বাচনে জিতে টানা সপ্তমবার IMAর রাজ্য শাখার সাধারণ সম্পাদক পদে বসেছিলেন তৃণমূল থেকে সাসপেন্ডেড চিকিৎসক শান্তনু সেন। এই নির্দেশের ফলে পদ গেল তাঁরও।IMAর রাজ্য শাখার নির্বাচনের ভোটগণনা ছিল গত ১৮ ডিসেম্বর। ভোট গণনার সময় IMAর দফতরে নিয়োগ করা হয় বাউন্সার। চিকিৎসকদের নির্বাচনে বাহুবলীরা কী করছেন? প্রশ্ন ওঠে নানা মহলে। ওই নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি হয়েছে বলে সরব হয় একটি গোষ্ঠী। ফল প্রকাশ হলে দেখা যায় টানা সপ্তমবারের জন্য সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন শান্তনু সেন।ওই নির্বাচন বাতিলের দাবি IMAর কেন্দ্রীয় শাখার কাছে আবেদন করেন সজল বিশ্বাস নামে এক চিকিৎসক। নির্বাচনে প্রার্থীও ছিলেন তিনি। সেই আবেদনে জানানো হয়, বেছে বেছে শান্তনু সেনের সমর্থকদের ব্যালট পেপার পাঠানো হয়েছিল। বিরোধী গোষ্ঠীর সমর্থক চিকিৎসকরা ব্যালট পেপারই পাননি। অভিযোগ খতিয়ে দেখে IMAর কেন্দ্রীয় শাখা ২০২৫ – ২৭ বর্ষের IMA রাজ্য শাখার নির্বাচন বাতিল করেছে। গোটা কমিটিকে বাতিল ঘোষণা করে নতুন করে নির্বাচন করানোর নির্দেশ দিয়েছে তারা। ২ মাসের মধ্যে নির্বাচন করিয়ে নতুন কমিটি গঠন করতে হবে।বলে রাখি, আরজি কর কাণ্ডের পর সেখানকার তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন শান্তনু সেন। এর পর তাঁকে তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড করা হয়। এর পর তাঁকে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের সরকারি প্রতিনিধির পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়।