মেডিক্যাল কলেজ থেকে মূল্যবান ইনজেকশন পাচারের অভিযোগের তদন্ত রিপোর্ট জমা পড়ল স্বাস্থ্য ভবনে। এই দুর্নীতির তদন্তে গঠিত ২টি তদন্ত কমিটিই শনিবার হাসপাতালের সুপারকে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেন। রবিবার সেই রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে স্বাস্থ্যভবনে🍃। তাতে যে মহিলা চিকিৎসক ইনজেকশন নিয়েছেন তাঁর বিরুদ্🉐ধে একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছে।
♋রিপোর্টে বলা হয়েছে, কোনও নিয়ম না মেনেই শুধুমাত্র স্পেসিমেন এগজামিনেশন ফর্ম দেখিয়ে তোলা হয়েছে ২৬টি টসিলিজুমাব ইনজেকশন। যার বাজার মূল্য প্রায় ১১ লক্ষ টাকা। এই ধরণের ইনজেকশন এক বিভাগ থেকে আরেক বিভাগে পাঠানোর বিস্তারিত নিয়ম রয়েছে। তাও নির্দিষ্ট সং♎খ্যায়। সেসব কিছুই মানা হয়নি। দেবাংশী সাহা নামে যে মহিলা চিকিৎসক এই ইনজেকশন নিয়েছিলেন, তাঁর এই ইনজেকশন নেওয়ার এক্তিয়ার নেই।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, কোন রোগীর জন্য ইনজেকশন নেওয়া হচ্ছে, তাঁকে কত মাত্রায় প্রয়োগ করা হবে, সমস্ত কিছু লিখে জমা দিলে তবে মেলে এই ইনজেকশন। কিন্তু এক্ষেত্রে সেসবের কিছুই মানা হয়নি।&nbs🍃p;
স্বাস্থ্যভবন সূত্রের খবর, রিপোর্ট জমা পড়ার পর তাঁরা হাসপাতালের কাছে রোগীকল্যাণ সমিতির সভাপতির পদ থেকে নির্মল মাজির পদত্যাগপত্র চেয়ে পাঠিয়েছে। সেই পদত্যাগপত্র ই🧸তিমধ্যে এসে পৌঁছেছে স্বাস্থ্য ভবনে।
গত এপ্রিলে মেডি൲ক্যাল কলেজ থেকে উধাও হয়ে যায় ২৬টি টসিলিজুমাব ইনজেকশন। গত বুধবার ২ নার্সের কথোপকথ🔯নের একটি টেপ প্রকাশ্যে আসলে তা নিয়ে শোরগোল শুরু হয়। ঘটনায় নাম জড়ায় হাসপাতালের রোগীকল্যাণ সমিতির প্রাক্তন সভাপতি নির্মল মাজির। অভিযুক্ত চিকিৎসক দেবাংশী সাহা তাঁর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। ভোটে লড়তে গত ফেব্রুয়ারিতে রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যানের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন নির্মল মাজি।
এব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা ♒হলে তিনি বলেছিলেন, রাজনীতি হচ্ছে। যিনি অভিযোগ করেছেন তিনি স্বচ্ছ্ব তো?