যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ছাত্রীকে ধর্ষণ, মানসিক এবং মৌখিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনায় শুক্রবার একটি তদন্ত কমিটি গঠন করল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে এবার এই ঘটনায় রিপোর্ট চেয়ে পাঠাল উচ্চশিক্ষা দফতর। যদিও দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযোগ পাওয়ার পরেই রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও রিপোর্ট পাঠান𒅌ো হয়নি। অন্যদিকে, অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: মেসে সিনিয়রের বিরুদ্ধে ব়্যাগিং ও ধর্ষণের🦩 অভিযোগ যাদ𝓡পুরের ছাত্রীর, তোলপাড়
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু জানিয়েছেন, উচ্চ শিক্ষা দফতর থেকে কোনও চিঠি এখনও তারা পাননি। পেলে নিশ্চয়ই সে সম্পর্কে রিপোর্ট দেওয়া হবে। তবে এই ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে ঘটেছඣে। এক𒉰ই সঙ্গে অভ্যন্তরীণ অভিযোগ কমিটির কাছে ওই ছাত্রী গিয়েছিলেন। সে বিষয়টি উচ্চ শিক্ষা দফতরের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, যেহেতু ঘটনাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের বাইরে ঘটেছে, তাই এই অভিযোগের তদন্ত করার জন্য একটি আলাদা কমিটি গঠন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ছাত্রীর অভিযোগ, ২০২২ সালের নভেম্বরে তাকে একজন ছাত্র ধর্ষণ করেছিল। অভিযোগ আরও একজন উপস্থিত ছিল। তবে সে উপস্থিত থাকলেও ছাত্রীর সাহায্যে এগিয়ে আসেনি। আরও একটি পৃথক অভিযোগে ওই ছাত্রী জানিয়েছেন, ২০২৩ সালে আরও একজনের সঙ্গে সম্পর্ক থাকাকালীন ওই ছাত্র তাঁকে মানসিক এবং যৌন নির্যাতন করেছিলেন। যাদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তাদের অনেকেই এসএ▨ফআইয়ের সঙ্গে যুক্ত বলে পড়ুয়াদের একাংশ দাবি করেছেন। অভিযোগ উঠার পরে একাধিক ছাত্র সংগঠন তদন্তের দাবি জানায়।
ছাত্রীটি গত ৪ এপ্রিল কলা বিভাগের প্রধানের কাছে অভিযোগ জানান। অভিযোগ ছিল, ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে বাড়ি ফেরার সুযোগ না থাকায় বাংলা বিভাগের সহপাঠীর সঙ্গে এডুকেশন ডিপার্টমেন্টে পাঠরত এক সিনিয়র ছাত্রের মেসে গিয়েছিলেন তিনি। পালবাজার এ💮লাকার ওই মেসে সেই রাতে ৩ জন মিলে মদপান করেন। নেশার সুযোগ নিয়ে ওই ছাত্র তাঁর সঙ্গে জোর করে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন বলে অভিযোগ। অন্য ছাত্রদের কাছে সাহায্য চাইলেও তারা ঘরের আলো বন্ধ করে দিয়ে চলে যান।
তবে এতদিন পরেꦐ ছাত্রী কেন অভিযোগ জানালেন তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এ প্রসঙ্গে ছাত্রীর বক্তব্য, তিনি মানসিক ভাবে এতটাই বির্পযস্ত ছিলেন যಞে অভিযোগ জানাতে পারেননি। ফেসবুক পোস্টে তিনি দাবি করেছেন, পুলিশ অভিযোগ নিতে চায়নি। ক্যাম্পাসে জিবি ডেকেও নিজে আসতে পারেননি ছাত্রীটি।