সন্ধের পরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক♈্যাম𒐪্পাসে মদ এবং মাদকের নেশা ক্রমে বেড়েই চলেছে। এরকম চলতে থাকলে সন্ধ্যার পর ক্যাম্পাসে পঠন পাঠন বা গবেষণার কাজ চালানো নিরাপদ নয় বলেই আশঙ্কা করছেন শিক্ষকরা। এই অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মদ ও মাদকের নেশা রুখতে তৎপর হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই মর্মে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ফ্লেক্স লাগানো হয়েছে। তাতে জানানো হয়েছে, কেউ মাদকাসক্ত বা মদ্যপ অবস্থায় ধরা পড়ে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হবে।
অকৃতকার্য ছাত্রকে পাশ করিয়ে দেওয়ার অভিযোগ 𓆏যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, পুজোর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে মদ এবং মাদকের নেশার ব্যাপক দাপট ছিল। সম্প্রতি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের গালে কামড়ে দেয় নেশাগ্রস্ত এক যুবক। তারপর থেকেই ক্যাম্পাসে মদ এবং মাদকের নেশা রুখতে তৎপর হয়েছে কর্তৃপক্ষ। এই ব🗹িষয়টি চোখে আঙুলে দেখিয়ে দিয়েছে যে মদ মাদকের নেশার ফলে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা নিরাপদ নন। এমনকি মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। সম্প্রতি ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিয়ে বৈঠক করেছে শিক্ষকদের সংগঠন জুটা। সংগঠনের পক্ষ থেকে সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় জানান, এই পরিস্থিতির পরিবর্তন না হলে সন্ধের পর গবেষণা বা পঠন পাঠন কাজ করা যাবে না। এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস স্বীকার করে নেনে যে ক্যাম্পাসে এই সমস্যা গুরুতর জায়গায় পৌঁছেছে। তবে পুজোর ছুটির পর ক্যাম্পাস খুললে এনিয়ে বৈঠক করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, এ বিষয়ে পুলিশি হস্তক্ষেপের কথা উঠলে😼ও তা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল ছাত্রদের একাংশ। তবে পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এখন আইনি পদক্ষেপ করার কথা ভাবছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, ক্যাম্পাসের মধ্যে যেসব যুবক নেশা করে থাকে তাদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া রয়েছে তেমনি বহিরাগতও রয়েছে। বহিরাগতদের সংখ্যাটাই বেশি বলে জানাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই পরিস্থিতিতে বহিরাগত রুখতে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছে কর্তৃপক্ষ। সেক্ষেত্রে ক্যাম্পাসে ঢোকার ক্ষেত্রে আই কার্ড দেখার বিষয়টি নিশ্চিত করতে চাইছেন তারা।