তিন মাস পেরিয়ে গিয়েছে। এখনও ছেলেকে যাদের জন্য তিনি হারিয়েছেন তাদের সাজা ঘোষণা হয়নি। হ্যাঁ, ঘটনাটি ঘটেছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে। যেখানে চরম র্যাগিংয়ের শিকার হয়ে প্রাণ দেয় একজন⛦ বাংলা বিভাগে꧒র প্রথম বর্ষের ছাত্র। এই ঘটনায় তোলপাড় হয়ে গিয়েছিল গোটা রাজ্য। জেলে গিয়েছে একাধিক পড়ুয়া এবং প্রাক্তনী। তারপর কী ঘটল? থেমে রয়েছে ছেলের হত্যাকারীদের শাস্তি। র্যাগিং কাণ্ডে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ভূমিকায় মোটেই খুশি নন মৃত পড়ুয়ার বাবা। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে তাই দেখা করলেন তিনি। আর দোষীদের শাস্তির আর্জি জানালেন ভগ্নহৃদয়ে।
ঠিক কী ঘটেছিল সেদিন? তারিখটা ছিল ৯ অগস্ট, ২০২৩। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলের তিন তলা থেকে নীচে পড়ে যায় বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের পড়ুয়া। নদিয়ার এই ছেলেটা চোখে স্বপ্ন নিয়ে উচ্চশিক্ষা নিতে এসেছিল। কিন্তু সহপাঠী থেকে শুরু করে প্রাক্তন ছাত্রদের চরম র্যাগিংয়ে শেষ হয়ে গিয়েছিল তরতাজা প্রাণ। আর সেই অভিযোগ উঠেছিল বলেই আজও জেলবন্দি তারা। আর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটির রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে, ‘ওই পড়ুয়ার মৃত্যুর সঙ্গে র্যাগিংয়ের যোগ রয়েছে।’ এই ঘটনার পর গোটা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস থেকে একাধিক তথ্য বেরꦰিয়ে আসে।
কী বলছেন মৃত ছাত্রের বাবা? তখন বিধানসভায় ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সেখানে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন 🌜প্রথম বর্ষের ওই পড়ুয়ার বাবা। ছেলেকে হারিয়ে আজ তিনি দিশাহীন। মৃত ছাত্রের বাবা বলেন, ‘যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা ভাল ঠেকছে না। অনেক গড়িমসি করছে তারা। দোষীরা যাতে উপযুক্ত শাস্তি পায় সেটা দেখবেন। স্য়ার হচ্ছেন শিক্ষামন্ত্রী। শিক্ষাঙ্গনে আমার ছেলের মৃত্য়ু হয়েছে। কঠিন, কঠোর, বিরলতম শাস্তি যেন হয়। বাংলা থেকে র্যাগিং যেন নিষিদ্ধ হয়। বাবা–মা হিসেবে যে যন্ত💜্রণা, যে কষ্ট, যে বেদনার মধ্যে আছি সেটা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। বাংলার কোনও বাবা–মা তাঁর ছেলেকে উচ্চশিক্ষায় পাঠিয়ে সন্তান যেন না হারান।’
আরও পড়ুন: রাত পোহালেই পাড়ি দেওয়া যাবে উত্তর সিকিমে, ভ্রমণ♏ের জন্য জারি নির্দেশিকা
আর কী জানা যাচ্ছে? এখন আবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠেছে। সুতরাং রোগ যে সারেনি সেটা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। কারণ এক দর্শন বিভাগের ছাত্র রষাগিংয়ের শিকার হয়ে হস্টেল ছেড়েছেন। আর সেই কথা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই এখন তোলপাড় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তবে নিহত ছাত্রের ঘটনা এখন ম্লান হয়নি। তার মধ্যেই আবার র্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটল। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু মৃত ছাত্রের বাবার সঙ্গে কী কথা হয়েছে তা সংবাদমাধ্যমকে জানাননি। শুধু বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাপারে একেবারেই খুশি෴ নই। যদি সব মিটে যায়, তখন বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন যাঁরা প্রশাসনিক দায়িত্ব আসবেন, তাঁরা𒁏 যদি আমাদের পরামর্শ চান, নিশ্চয়ই দেব।’