চলতি মাসের অগস্ট মাসে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে মৃত ছাত্রকে মানসিক এবং শারীরিক অত্যাচার করা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। এমনকী যৌন হেনস্🦄থারও অভিযোগ উঠেছিল। এবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাগিং কাণ্ডে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় ধৃত ১২ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করল কলকাতা গোয়েন্দা পুলিশের হোমিসাইড শাখা। প্রথম গ্রেফতার থꦆেকে ৬৯ দিনের মাথায় আলিপুরের বিশেষ পকসো আদালতের বিচারক সুদীপ্ত ভট্টাচার্যের এজলাসে ওই চার্জশিট পেশ করা হয়। এই ঘটনায় খুনের অভিযোগ করেন মৃত ছাত্রের বাবা।
এদিকে তদন্ত শেষ করার পর চার্জশিটে পুলিশ দাবি করেছে, এটা খুন নয়। আত্মহত্যা করেছে ওই ছাত্র। তবে ওই ছাত্রের আত্꧋মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনেছে গোয়েন্দা পুলিশ। ধৃত ১২ জনের বিরুদ্ধেই এই অভিযোগ আনা হয়েছে। এমনকী তদন্তকারীদের পক্ষ থেকে ধৃতদের বিরুদ্ধে র্যাগিং, পকসো (১০ ও ১২) ধারা, ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছে। প্রথম বর্ষের ছাত্রকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার সর্বোচ্চ সাজা হল মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন বা ১০ বছরের সশ্🍬রম কারাদণ্ড। তদন্তে আরও কিছু উঠে আসতে পারে। তাই ‘সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট’ পেশের আবেদনও করা হয়েছে।
অন্যদিকে চার্জশিটে উল্লেখ রয়েছে, হস্টেলে প্রথমদিন ওই ছাত্রকে মানসিকꦅ ও শারীরিক নির্যাতন করা হয়। ওই ছাত্রকে মানসিক এবংশারীরিক অত্যাচারে অভিযুক্তদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ যোগ ছিল। যার জেরেই প্রথম বর্ষের ছাত্র আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। ৯ অগস্ট রাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলের বারান্দা থেকে পড়ে যায় ওই ছাত্র। সেখান থেকেไ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে পরদিন ভোরে মৃত্যু হয় তাঁর। আর এই ঘটনায় র্যাগিংয়ের অভিযোগ ওঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক প্রাক্তনী এবং এখনের ছাত্রদের বিরুদ্ধে। এখন আদালতে ছুটি চলছে। তাই চার্জশিট বিচারকের হাতে পৌঁছয়নি। নিয়ম অনুযায়ী, চার্জশিট হাতে পেয়ে প্রথমে তা গ্রহণ করেন বিচারক। তারপর শুরু হয় শুনানি।
আরও পড়ুন: এবার বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করছেন মুখ্য💝মন্ত্🍨রী, থাকবেন তামাম শিল্পপতিরা
আর তদন্তে নেমে পুলিশ মূল অভিযুক্ত সৌরভ চৌধুরী–সহ ১২ জনকে গ্রেফতার করে। ধৃতদের বিরুদ্ধে হস্টেলে র্যাগিং এবং যৌন নির্যাতনের অভিযোগও ওঠে। তাই পকসো ধ♋ারা যুক্ত করে বিশেষ পকসো আদালতে যায় এই মামলা। দুর্গাপুজোর প্রাক্কালে পঞ্চমীর সন্ধ্যায় হোমিসাইড শাখার তদন্তকারীরা আলিপুর আদালতে ওই চার্জশিট পেশ করেন। চার্জশিট ২৫০ পাতারও বেশি। তাতে প্রায় ৪০ জন সাক্ষী রয়েছে। তবে মৃত ছাত্রের মামা বলেন, ‘এখনও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলাম না।’ এই ঘটনার আড়াই মাস পরেও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোনও ব্যবস্থা নিতে পারেননি। সূত্রের খবর, চার্জশিটে উল্লেখিত সাক্ষীদের মধ্যে রয়েছেন—ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক, সাইবার বিশেষজ্ঞ, স্কেচ স্পেশালিস্ট এবং অন্যান্যরা।