যোগেশ চন্দ্র চৌধুরী কলেজের পুজোর আয়োজন করা হল রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের ইন্দ্রানী পার্কের অফিসের দালানে। এমনই দাবি করা হল রিপোর্টে। এদিকে আরও দাবি করা হয়েছে, সেই পুজোর সময় মঞ্চে থাকবেন ছাত্রনেতা সাব্বির আলি। অভিযোগ উঠেছে, কলেজ ক্যাম্পাসে জায়গা পাওয়া যায়নি। তাই মন্ত্রীর অফিসের সামনে এই পুজোর আয়োজ করা হয়েছে। এই নিয়ে অভিযোগের আঙুল উঠেছে কলেজের প্রিন্সিপাল পঙ্কজ কুমারের দিকেই। (আরও পড়ুন: 💫সরস্বতী পুজোয় 'বাধা' দেওয়ার অভিযোগ আরও এক কলেজে, প্রতিবাদে সরব TMCP)
আরও পড়ুন: 🥂নির্দেশ এল স্পিকারের... সংসদে পেশ হবে ওয়াকফ যৌথ কমিটির রিপোর্ট এবং যাবতীয় প্রমাণ
উল্লেখ্য, এর আগে যোগেশ চন্দ্র চৌধুরী কলেজের সরস্বতী পুজোর বিতর্কের জল গড়িয়েছিল হাই কোর্টে। উচ্চ আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, ক্যাম্পাসেই পুজো করতে হবে। এর জন্যে নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হয় পুলিশকে। তবে কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্য অতনু মণ্ডল টিভি৯ বাংলাকে বলেন, 'কলেজের প্রিন্সিপাল পঙ্কজ কুমার রায় হলেন বিজেপির দালাল। উনি পুজো করতে দিচ্ছেন না। সেই কারণে যোগেশচন্দ্র চৌধুরী কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা মিলে যোগেশচন্দ্র চৌধুরী কলেজের ইউনিটের সাহায্যে আমাদের পুজো করছি। আর একজনের নামে যেভাবে অপ্রচার করা হচ্ছে সেটা বন্ধ করা হোক।' (আরও পড়ুন: 𝔍ইউনুসের বাংলাদেশের জন্যে বাজেটে কত বরাদ্দ ভারতের? গতবারের তুলনায় বাড়ল না কমল?)
আরও পড়ুন: 🌼শিয়রে ভোট, কেন্দ্রীয় বাজেট থেকে এহেন দিল্লি কত টাকা পাচ্ছে?
⛎প্রসঙ্গত, এর আগে সম্প্রতি তৃণমূলের ছাত্র নেতা সাব্বির আলির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, কলকাতার যোগেশ চন্দ্র চৌধুরী ল কলেজে সরস্বতী পুজোয় বাধা দিয়ে ধর্ষণ ও প্রাণে মেরে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন তিনি। এই নিয়ে চারু মার্কেট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ল কলেজের পড়ুয়ারা। লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছ অধ্যক্ষের কাছেও। পড়ুয়াদের অভিযোগ, কলেজে ঢুকে সরস্বতী পুজো না করতে হুমকি দেন তৃণমূলি দুষ্কৃতী সাব্বির আলি। পুজোর আয়োজন হলে ছাত্রদের খুনের হুমকি দেন তিনি। বলেন, রাস্তায় বেরোলে দেখে নেব। মেয়েদের ঘরে ছেলে ঢুকিয়ে দেব। প্রসঙ্গত, এই সাব্বির আলির বিরুদ্ধে অভিযোগ নতুন নয়। এর আগে সাব্বিরের বিরুদ্ধে কলেজে গুন্ডাগিরির অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়েছিল। এর পর সাব্বিরের কলেজ ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে হাইকোর্ট। কিন্তু তার পরও সাব্বির ও তার দলবল ক্যাম্পাস দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বলে অভিযোগ। এই খবর পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী নিজে খোঁজখবর করতে শুরু করেন। খোদ শিক্ষামন্ত্রী এই বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে রিপোর্ট তৈরি করছেন বলে সূত্রের খবর।