ইতিমধ্যেই যৌথ সংসদীয় কমিটির অনুমোদন মিলেছে। এই আবহে আসন্ন বাজেট অধিবেশনেই সংসদে পেশ করা হচ্ছে ওয়াকফ বিল। সংসদের নথি অনুযায়ী, ওয়াকফ সংশোধনী বিলের যৌথ সংসদীয় কমিটির প্রধান জগদম্বিকা পাল সংসদে ওয়াকফ সংশোধনী বিলের রিপোর্ট পেশ করতে চলেছেন। এরই সঙ্গে ওয়াকফ যৌথ সংসদীয় কমিটির সামনে যে সব প্রমাণ জমা পড়েছে, সংসদে সেই সবও পেশ করা হবে। জানানো হয়েছে, গত ৩০ জানুয়ারি লোকসভার স্পিকারের কাছে ওয়াকফ সংশোধনী বিল সংক্রান্ত রিপোর্টটি জমা দেওয়া হয়েছিল গত ৩০ জানুয়ারি। বলা হয়েছে, স্পিকার সেই রিপোর্টে সন্তুষ্ট এবং লোকসভার ২৮০ নং বিধি অনুযায়ী সেই রিপোর্ট ছাপিয়ে বিলি করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। (আরও পড়ুন: 🐽ইউনুসের বাংলাদেশের জন্যে বাজেটে কত বরাদ্দ ভারতের? গতবারের তুলনায় বাড়ল না কমল?)
আরও পড়ুন: ಌযেমন কথা, তেমন কাজ! শুল্ক বৃদ্ধি করলেন ট্রাম্প, মাথায় হত কোন কোন দেশের?
🌠এর আগে গত ২৭ জানুয়ারি যৌথ সংসদীয় কমিটিতে এই ওয়াকফ সংশোধনী বিলটিকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। উল্লেখ্য, এর আগে শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম সপ্তাহে ওয়াকফ সংশোধনী বিলের ওপর রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা ছিল যৌথ সংসদীয় কমিটির। তবে রিপোর্ট পেশের জন্যে সময়সীমা বাড়িয়েছিল কমিটি। এই আবহে ১৩ ফেব্রুয়ারি (বাজেট অধিবেশনের প্রথম পর্বের শেষ দিন) পর্যন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার সময়সীমা পায় কমিটি। এরই মাঝে ক'দিন আগে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ মোট ১০ সাংসদকে একদিনের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছিল কমিটি থেকে।
🅺প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের অগস্টে ওয়াকফ বিলের যে খসড়া আদালতে পেশ করা হয়েছিল, তার থেকে ১৪টি বদল এনে এই বিলকে অনুমোদন দিয়েছে যৌথ সংসদীয় কমিটি। এদিকে রিপোর্ট অনুযায়ী, এই বিলে ৪৪টি সংশোধনীর প্রস্তাব করেছিলেন বিরোধী সাংসদরা। তবে সেই প্রস্তাবের একটিও গ্রহণ করা হয়নি। এই নিয়ে কমিটির প্রধান জগদম্বিকা পাল জানান, বিরোধী সাংসদরা মোট ৪৪টি সংশোধনী জমা দিয়েছিলেন। বিরোধীদের সংশোধনীর পক্ষে ১০টি ভোট পড়েছিল। এবং ১৬টি ভোট বিপক্ষে পড়েছিল। তাই সেগুলি গ্রহণ করা হয়নি। তবে ১৪টি সংশোধনী গ্রহণ করা হয়েছে।
🉐উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভায় ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল পেশ করেছিলেন কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু। তারপর ৮ অগস্ট সেই বিলটি পাঠানো হয় যৌথ সংসদীয় কমিটির কাছে। যে বিলের মাধ্যমে ১৯৯৫ সালের ওয়াকফ আইনকে সংশোধনের লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। ওয়াকফ সম্পত্তি সামলানোর ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিষয় সংশোধনের চেষ্টা করা হচ্ছে ওই বিলের মাধ্যমে।