🐠 শেখ হাসিনার বিদায়ের পর থেকেই ঢাকা ও দিল্লির মধ্যে দূর্ব যেন বেড়েছে। বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বর্তমানে ভারতে আছেন। এই নিয়ে 'অসন্তুষ্ট' সেই দেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এদিকে সীমান্তে কাঁটতারের বেড়া দেওয়া নিয়ে দুই দেশের মধ্যে নানা জায়গায় বিবাদ হয়েছে গত কয়েক মাসে। এছাড়াও বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারের ইস্যুতেও ভারত ক্ষুব্ধ। এই সবের মাঝেও কেন্দ্রীয় বাজেটে বড় পরিমাণ অর্থের বরাদ্দ পেল বাংলাদেশ। রিপোর্ট অনুযায়ী, গতবছর হাসিনা জমানায় বাংলদেশের জন্যে ভারত যত অর্থ বরাদ্দ করেছিল, এবারও ঢাকার জন্যে ততটাই অর্থ বরাদ্দ করেছে দিল্লি।
𓂃এবারের বাজেটে বিদেশ মন্ত্রকের জন্য সব মিলিয়ে বরাদ্দ করা হয়েছে ২০,৫১৬ কোটি টাকা। এর আগে গত অর্থবর্ষে বিদেশ মন্ত্রকের জন্যে সংশোধিত বাজেটের বরাদ্দ থেকে এই পরিমাণ কম। আগের বছর সব মিলিয়ে বিদেশ মন্ত্রকের জন্যে বরাদ্দ করা হয়েছিল ২৫,২৭৭ কোটি টাকা। এদিকে রিপোর্ট অনুযায়ী, গত বাজেটে বাংলাদেশের জন্যে ১২০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল ভারতের কেন্দ্রীয় বাজেটে। আর এবার নিজের অষ্টম কেন্দ্রীয় বাজেটেও বাংলাদেশের জন্যে ১২০ কোটি টাকাই বরাদ্দ রাখলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। যা বেশ তৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। বাংলাদেশের জন্যে বাজেটে আগের মতো বরাদ্দ রেখে দিল্লি বুঝিয়ে দিতে চাইল, এখনও পড়শি দেশের সঙ্গে তারা সুসম্পর্কই চায়।
🦩এদিকে ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে ভুটানের জন্য সর্বোচ্চ আর্থিক অনুদান বরাদ্দ রেখেছে ভারত। বরাবরই ভারতের বিদেশি অনুদানের তালিকায় ওপরের দিকে থাকে এই ছোট্ট পড়শি দেশটি। এবারও এই তালিকায় শীর্ষ স্থানেই আছে ভুটান। এই বাজেটে ভুটানের জন্যে ভারত ২১৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। সব মিলিয়ে আর্থিক সাহায্য খাতে বিভিন্ন দেশের জন্য এবারের কেন্দ্রীয় বাজেটে রাদ্দ করা হয়েছে ৬৭৫০ কোটি টাকা। উল্লেখ্য, গত বছরই ভুটানের পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার জন্য আর্থিক সহযোগিতার পরিমাণ ৫,০০০ কোটি টাকা থেকে দ্বিগুণ বাড়িয়ে ১০,০০০ কোটি টাকা ঘোষণা করেছিল ভারত সরকার।
🌠এদিকে বাংলাদেশ এবং ভুটান ছাড়াও নেপালের জন্যে ভারত বরাদ্দ করেছে ৭০০ কোটি টাকা। মলদ্বীপের জন্যে ভারতের এবারের বরাদ্দ ৬০০ কোটি টাকা। গতবার এই পরিাণ ছিল ৪০০ কোটি টাকা। মরিশাসের জন্যে ভারতের বাজেট বরাদ্দ ৫০০ কোটি টাকা। মায়ানমারের জন্যে এই বরাদ্দের পরিমাণ ৩৫০ কোটি টাকা। শ্রীলঙ্কার জন্যে বরাদ্দ ৩০০ কোটি টাকা। আফগানিস্তানের জন্যে বরাদ্দ ১০০ কোটি টাকা। গতবার এই পরিমাণ ছিল ১০০ কোটি টাকা।