শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোܫগ উঠেছে মুর্শিদাবাদেের সুতির গোঠা এ আর উচ্চ বিদ্যালয়ে। ওই স্কুলের শিক্ষক পদে কর্মরত অনিমেশ তিওয়ারির নিয়োগ নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় স্কুলের প্রধান শিক্ষক তথা অনিমেশের বাবা আশিস তিওয়ারিকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। এবার কলকাতা হাইকোর্টে এনিয়ে রিপোর্ট পেশ করল সিআইডি। মামলায় বিচারপতি বসু প্রশ্ন করেন, ‘নথি জাল থাকা সত্ত্বেও তিন চার বছর ধরে কীভাবে বেতন পেলেন ওই ব্যক্তি।’ বিচারপতি মনে করেন, এই ঘটনার সঙ্গে আরও অনেকেই জড়িত।
এদিন সিআইডির তরফেꦗ আদালতকে জানানো হয়, এখনও পর্যন্ত এই মামলায় ৩৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ𝔉 করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছেন ডিআই অফিসের আধিকারিক, কর্মীদের পাশাপাশি স্কুলের অন্যান্য শিক্ষক শিক্ষিকা। সিআইডির তরফে জানানো হয়, জিজ্ঞাসাবাদের সময় অসহযোগিতা করেছিলেন আশিস তিওয়ারি তাই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সিআইডি-র তরফে আদালতে জানানো হয়, যার নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সেই অনিমেশ তিওয়ারি এখনও পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। বিচারপতির সন্দেহ, আরও অনেকেই এর সঙ্🎀গে জড়িত থাকতে পারে। তবে নথি জাল থাকা সত্ত্বেও তাঁরা বেতন কীভাবে পেলেন তা নিয়েও তিনি প্রশ্ন তোলেন। রাজ্যের তরফে জানানো হয়, প্রধান শিক্ষকের দফতর থেকে নথি জাল করা হয়েছিল। আর সেই জাল নথিগুলি পাঠানো হয়েছিল ডিআই অফিসে। সেখান থেকে নথিগুলি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। সাধারণত স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে সুপারিশপত্র ও নিয়োগপত্র ডিআই অফিসে পাঠানো হয়। ১০ মার্চ ফের এই মামলার শুনানি হবে।
উল্লেখ্য, সোমা রায় নামে এক চাকরি প্রার্থীಞ꧒ কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার একটি স্কুলের ভূগোলের শিক্ষক অরিন্দম মাইতির নিয়োগের মেমো নম্বর জাল করে চাকরি পেয়েছিলেন অনিমেশ তিওয়ারি। সেই মামলায় প্রথমে অনিমেশের বেতন বন্ধ করেন কলকাতায় হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু এবং পরে ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব দেন রাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডিকে। অন্যদিকে, এই ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক অনিমেশ তিওয়ারি এবং তাঁর বাবা তথা প্রধান শিক্ষক অসিত তিওয়ারির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে থানায় এফআইআর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক অমরকুমার শীল।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করꦆার লিঙ্ক //htipad.onelink.me/277p/p7me4aup