বাড়িতে চোর ঢুকেছে। রাতের অন্ধকারে চুরিও করেছে। কিন্তু পালাবার আগে সেই চোর ধরা পড়ে গিয়েছ♍ে। সুতরাং গণধোলাই তার প্রাপ্য। এমনই মনে করেন এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা। তাই তাঁরা খবর পেয়ে একেবারে প্রস্তুত হয়ে এসেছেন চোরকে পথেই বুঝে নেওয়ার জন্য। তখন টানটান উত্তেজনা তৈরি হয়েছে পাড়ায়। শার্টের হাতা গুটিয়ে সবাই প্রস্তুত💮। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ওই চোর ভয়ে সিঁটিয়ে গিয়েছে। আর ওই চিকিৎসককেই কাকুতি–মিনতি করছে। এই দৃশ্য কলকাতা শহরে বিরল। আগে কখনও ঘটেছে কিনা তা কেউ মনে করতে পারছেন না।
তখন চিকিৎসক কী করলেন? এই চিকিৎসকই বমাল ধরেছেন চোরকে। আর পাড়া– প্রতিবেশীকে খবর দিয়েছেন। একইসঙ্গে খবর দিয়েছেন স্থানীয় থানাতে। ততক্ষণে এলাকার মানুষ তেতে উঠেছেন। চোরকে গণধোলাই দিতে সবাই প্রস্তুত। কিন্তু দেখা গেল, চোরের অনুরোধে সাড়া দিলেন চিকিৎসক। রাতভর ওই চোরকে পাহারা দিলে💟ন চিকিৎসক। যাতে এলাকার মানুষজন ওই চোরকে গণধোলাই না দেয়। আইন কেউ হাতে তুলে নিন এটা চাননি ওই চিকিৎসক। তাই গণধোলাইয়ের হাত থেকে বাঁচিয়ে চোরকে তুলে দিলেন কসবা থানার হাতে। দক্ষিণ কলকাতার কসবা এলাকার এই ঘটনা এখন চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে।
ঠিক কী ঘটেছে কসবায়? স্থানীয় সূত্রে খবর, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ব্রেস্ট এন্ডোক্রাইন বিভাগের প্রধান ডা. ধৃতিমান মৈত্র। তিনিই চোর ধরেছেন। তাঁর পাশের বাড়ি থেকে। 🧸রবিবার রাতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয় ওই এলাকায়। তাতে গরমে হাঁসফাঁস করছিলেন চিকিৎসক। ওই অবস্থায় জানালা খুলে বসেছিলেন চিকিৎসক। প্রকৃতির হাওয়ার উপর নির্ভর করছিলেন। তখনই তাঁর নজরে পড়ে গুটি গুটি পায়ে পাশের বাড়িতে একজন ঢুকছে। এটা দেখেই তিনি তৎপর হয়ে ওঠেন এবং বমাল ধরে ফেলেন চ♓োরকে।
ঠিক কী বলছেন চিকিৎসক? এলাকায় চোর ধরে তিনি চিকিৎসক থেকে এখন হিরো বনে গিয়েছেন। তবে ডা. ধৃতিমান মৈত্র সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘ওটা আমারই মাসির বাড়ি। মাসিরা ইংল্যান্ডে থাকেন। বাড়ি ফাঁকা। সেখানেই অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে চুরি করতে ঢুকেছিল চোর। আর তাকে ধরতেই চেঁচামিচিতে পাড়💞ার লোকজন জড়ো হয়ে যায়। চোরকে তখন গণধোলাই দিতে তৈরি সবাই। তবে তা হয়নি। পুলিশ না আসা পর্যন্ত আমি চোর পাহারা দিই। আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া ঠিক কাজ নয়। গণধোলাইয়ে অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটতে পারে বুঝেই পাহারা দিতে হয়। পুলিশ এলে তাদের হাতে তুলে দিই চোরকে।’