কলকাতা পুরসভার কাছ থেকে বকেয়া টাকা মেলেনি বলে অভিযোগ। আর তার জেরে মাঝপথে নিকাশি সংস্কারের কাজ বন্ধ করে দিল ঠিকাদাররা। এই ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে 🍷গিয়েছে। কাজ শেষ করার ক্ষেত্রে পুরসভা কর্তৃপক্ষ সময়সীমা বেঁধে দিলেও নিজেদের সিদ্ধান্তে 🍃অনড়ই রয়েছেন ঠিকাদাররা। তার জেরে চাপে পড়ে গিয়েছেন পুরকর্তারা। এমনিতেই কলকাতা পুরসভায় এবার আয় হয়েছে কম। তাই আর্থিক চাপ রয়েছে। অনেক কাজের ক্ষেত্রেই বকেয়া রাখতে হচ্ছে। এবার সেটাই চরম আকার নিল বলে মনে করা হচ্ছে।
কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, কলকাতা পরিবেশ উন্নয়ন প্রকল্পে (কেইআইপি) টালিগঞ্জ ও বেহালা অঞ্চলের একাধিক ওয়ার্ডে নতুন নিকাশি প্রণালী তৈরির কাজ চলছে কয়েক বছর ধরে। এই কাজ করার জন্য এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের কাছ থেকে ঋণ নিয়েছে রাজ্য সরকার। সেই টাকা দিয়ে টালিগঞ্জ, বেহালার নানা এলাকায় নতুন পাইপলাইন বসানোর কাজ চলছে। নিকাশি নালায় যে দূষিত জল আসছে তা শোধন করে খালে ফেলার জন্য তৈরি হচ্ছে ওয়েস্ট ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট। এই কাজ করছে তিনটি বড় ঠিকাদার সংস্থা। কলকাতা পুরসভার কাছ থেকে ওই ঠিকাদারদের প্রায় ২০ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে। কিন্তু সেই টাকা মেলেনি। ফলে মাঝপথে কাজ বন🦹্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: পি চিদম্বরমের বিরুদ্ধে নালিশ ঠুকলেন মণিপুর কংগ্রেসের নেতারা, চিঠি গেল খাড়গের দুয়ারে
এই ঘটনায় সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। কাজ শেষ না হওয়ায় রাস্তায় খানাখন্দ হয়ে রয়েছে। সুতরাং পথ দুর্ঘটনার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি ১১৩ নম্বর ওয়ার্ডে বাঁশদ্রোণীতে ঠিকাদারদের পে–লোডারের তলায় চাপা পড়ে মৃত্যু হয় এক স্কুলছাত্রের। এই ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল স্থানীয় কাউন্সিলরকে। এবার একটি সংস্থাকে কাজ শেষ করতে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। ডিসেম্বর মাসের মধ্যে কাজ শেষ করতে হবে। কিন্তু এখন বকেয়া পাওনা না মেলায় থমকে গিয়েছে কাজ। নিকাশি🐻 সংস্কারের কাꦡজ ঝুলে থাকায় রাস্তা সারানোও থমকে গিয়েছে।
নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ না হলে ব্ল্যাকলিস্ট করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মেয়র। সেখানে বকেয়া টাকা না মেলায় কাজই থেমে গিয়েছে। কলকাতা পুরসভার সিভিল বিভাগের এক ইঞ্জিনিয়ার এই বিষয়ে বলেন, ‘টেন্ডারের শর্তে বলা আছে, যারা নিকাশি পাইপলাইন বসাবে তারাই রাস্তা সারাই করবে। একই রাস্তা বারবার সারাতে হচ্ছে বলেই খরচ পুরসভাকেই বহন করতে হচ্ছে। যা নিয়ে ভবিষ্যতে অডিটে সমস্যা হতে পারে।’ কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, এই সমস্যা মেটাতে কদিন আগে বরো চেয়ারম্যান, কাউন্সিলর, কেইআইপি’র ইঞ্জিনিয়ার এবং ঠিকাদার সংস্থার কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে করেন মেয়র। বৈঠকে ঠিকাদাররা জানিয়ে দেন, বকেয়া না মেটালে কাজ করা সম্ভব নয়। মেয়রের হুঁশিয়ারি, ‘ঠিকাদারদের গড়িমসিতে মানুষ কেন যন্ত্রণা ভোগ করবেন? যে কাজ করতে পারবে না তাকে সরিয়ে দিতে বলেছি। আমরা ♔কোনও কম্প্রোমাইজ করব না।’