করোনার মতো ডেঙ্গির ক্ষেত্রেও ‘স্পর্শকাতর’ এলাকা চিহ্নিত করল কলকাতা🦂 পুরসভা। রাস্তা হিসাবে একাতাগুলিকে চিহ্নত করা হয়েছে। কলকাতা ৩৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৯২টি রাস্তাকে ডেঙ্গির ক্ষেত্রে স্পর্শকাতর হিসাবে চিহ্নত করা হয়য়েছে। এই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির রাস্তা হরিশ চ্যাটার্জি স্টিট এবং কালীঘাট রোডও রয়েছে।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, এই রাস্তাগুলিতে কয়েক সপ্তাহ বাড়তি নজরদারিতে রাখা হবে। যে রাস্তার আশপাশের এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্তের খবর বেশি আসছে সেগুলিকেই চি🅘হ্নিত করা হয়েছে স্পর্শকাতর হিসাবে। তালিকায় থাকা বেশিরভাগ রাস্তা দক্ষিণ, দক্ষিণ-পূর্ব এবং তৎসংলগ্ন এলাকার।
ডেঙ্গি আক্রান্তের হিসাবে কলকাতা 🎃পুরসভা বেশ কিছু ওর্য়াডকেও স্পর্শকাতর হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। দশ দিন ওই তালিকায় ওয়ার্ডের সংখ্যা ছিল ২৯। সম্প্রতি ১টি ওয়ার্ডকে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। সেই নটি ওয়ার্ডে নতুন করে সংযোজিত করা হয়েছে। ওই ওয়ার্ডগুলিতে ৭০ জন বা তার বেশি ডেঙ্গিতে আক্রান্ত।
পুরসভার হিসাব𝓰 অনুযায়ী গত ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শহরে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩৮০২। গত একই সময়ে এই সংখ্যা ছিল ১৫২৩। অর্থাৎ এই এক বছরে দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা।
তবে স্পর্শকাতর হিসাবে চিহ্নিত রাস্তাগুলির মধ্যে মাত্র নটি উ🌌ত্তর কলকাতার। এই রাস্তাগুলি মধ্যে রয়েছে বেলগাছিয়া রোড, কাশীপুর রোড, বি টি রোড, ক্যানাল ইস্ট রোড।
(পড়তে পারেন। ডেঙ্গি তো কমছেই না! রোꦫজ পাতে রাখুন এগুলি, মশাব𝄹াহিত রোগ সামলানোর শক্তি বাড়বে)
কসবা, নিউ আলিপুর, ভবানীপুর, চেতলার মতো জনবহুল এলাকাও রয়েছে এই তালিকায়। এছাড়া আন্যান্যা রাস্তাগুলির মধ্য রয়েছে সুইনহো লেন, কুষ্টিয়া রোড,🗹 বিজযಞ়গড়, নারকেলবাগান, ডিপিএস রোড, গলফ ক্লাব রোড, বাঁশদ্রোণী বিধানপল্লি, ভূপেন রায় রোড, পর্ণশ্রী পল্লি, চিত্তরঞ্জন কলোনি, সেন্ট্রাল পার্ক।
পুরসভার পতঙ্গবিদ ডাঃ দেবাশিস বিশ্বাস বর্তমানকে বলেন, ‘নির্দিষ্ট কিছু রাস্তা চিহ্নিত করে বাড়তি নজরদারি চালানো হচ্ছে। স্বাস্থকর্মীরা সেখানে নিয়মিত যাচ্ছে। ওই এলাকাগুলিতে বহুতল, ন🔯ির্মীয়মান বাড়ি, ফাঁকা ও পরিত্যক্ত জমি বেশ🃏ি রয়েছে। সেখান থেকে ডেঙ্গি সংক্রমণ বেশি ছড়াচ্ছে। ’
আগামী সপ্তাহ থেকেই হেল্পলাইন চালু করছে কলকাত🦩া পুরসভা। সেই হেল্পলাইনে ফোন করে হাসপাতালের বেড এꦕবং ডেঙ্গি সংক্রান্ত অন্য তথ্য জানা যাবে। এছাড়া শহরের দুটি হাসপাতালে ডেঙ্গি আক্রান্তের জন্য বেড সংরক্ষণের ব্যবস্থাও রাখছে পুরসভা। এছাড়া কলকাতার অন্যান্য হাসপাতালগুলোকে পুরসভার পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে প্রয়োজনে বেডের ব্যবস্থা রাখার জন্য।