হাতে বেশি সময় নেই। এখন দুয়ারে দুর্গাপুজো। অক্টোবর মাস পড়তে আর হাতেগোনা ১০ দিন। তারপরই মাঝামাঝি সময়ে গোটা রাজ𝐆্য মেতে উঠবে উৎসবে। এই উৎসবে প্রত্যেক বছর গোটা মহানগরী সেজে ওঠে আলোর রোশনাইয়ে। রঙিন আলোয় ঢেকে যায় তিলোত্তমার উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম। আর তার জন্য বড় অঙ্কের খরচও বহন করতে হয় কলকাতা পুরসভাকে। কিন্তু ২০২৩ সালের দুর্গাপুজোয় এই খাতে খরচ কমাতে চাইছে কলকাতা পুরসভা। সূত্রের খবর, অন্তত ৫০ শতাংশ খরচ কমানোর লক্ষ্যমাত্রা সামনে রাখা হয়েছে।
বিষয়টি ঠিক কেমন হবে? কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, প্রত্যেক বছর কলকাতার গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা থেকে শুরু করে নামীদামি দুর্গাপুজো এলাকায় বাড়তি আল♎োর ব্যবস্থা করা হয়। এছাড়া শহরের নানা ওয়ার্ডের একাধিক জায়গায় আলোর রোশানাই গড়ে তোলা হয়। আবার পুলিশও কিছু জায়গায় বাড়তি আলোর ব্যবস্থা করার অনুরোধ করে থাকে। দইঘাট থেকে রতনবাবুর ঘাট পর্যন্ত নানা ঘাটে বাড়তি আলোর ব্যবস্থা থাকে। তার জেরে প্রত্যেক বছর অন্তত দেড় কোটি টাকা বাড়তি খরচ হয় কলকাতা পুরসভার। এই বছর টানাটানির সংসার চলছে। তাই এমন বিপুল অর্থ খরচ থেকে সরে আসতে চাইছে কলকাতা পুরসভা। বরং কাটছাঁট করা হচ্ছে। অন্তত ৫০ শতাংশ খরচ কমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
কেন এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে? এদিকে কলকাতা পুরসভা শহরজুড়ে দেদার আলোর রোশনাই থেকে সরে আসতে চাওয়ায় কাউন্সিলরদের একাংশ অসন্তুষ্ট বলে সূত্র🗹ের খবর। তবে এই সিদ্ধান্ত কলকাতা পুরসভার শীর্ষ কর্তৃপক্ষের বলে সবাই এখন স্পিকটি নট অবস্থায় রয়েছেন। এটা সꦚিদ্ধান্ত নেওয়াটা অত্যন্ত দরকার ছিল বলে মনে করছেন পুরসভার অফিসাররা। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক অফিসার বলেন, ‘এই বছর রাজ্য সরকার চাঁদার অঙ্ক বাড়িয়ে ৭০ হাজার টাকা করেছে। দুর্গাপুজো কমিটিগুলির বিজ্ঞাপন খরচে ছাড় এবং বিদ্যুৎ খরচের ছাড় বৃদ্ধি করা হয়েছে। তাই দুর্গাপুজো কমিটিগুলি নিজেরা নিজেদের এলাকায় বাড়তি আলোর ব্যবস্থা করুক চায় পুরসভা। তাতে পুরসভার কোষাগারের চাপ কমবে।’
আরও পড়ুন: শিক্ষকদের বদﷺলি মানতে হবে, এবার সরাসরি বিজ্ঞপ্তি জারি করল বিকাশ ভবন
ঠিক কী বলছে কলকাতা পুরসভা? অন্যদিকে এই সিদ্ধান্তের কথা প্রকাশ্যে আসায় জোর চর্চা শুরু হয়েছে কলকাতা পুরসভার অন্দরে। এই বিষয়ে কলকাতা পুরসভার আলো বিভাগের মেয়র পারিষদ সন্দীপরঞ্জন বক্সি বলেন, ‘দুর্গাপুজোয় শহরের বিভিন্ন রাস্তা, গলি পুরসভা আলো দিয়ে সাজাবে ঠিকই। কিন্তু এখন কলকাতা পুরসভার আর্থিক অবস্থা আগের মতো নয়। তাই এই বছর চেষ্টা করছি আলোর খরচ যতটা কমানো যায়। তবে যেখাไনে সত্যি আলোর প্রয়োজন সেখানে অবশ্যই বাড়তি আলো দেওয়া হবে।’