চলছে না লোকাল ট্রেন। বাসও অপ্রতুল। এর মধ্যেই কলকাতা পুরসভায় সোমবার থেকে বাধ্যতামূলক হয়েছে ১০০ শতাংশ হাজিরা। যা নিয়ে রবিবারই ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন কর্মীদের একাংশ। এদিন চাকরি বাঁচাতে সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং শিকেয় তুলে ছুটতে দেখা গেল কলকাতা পুরসভার বহু কর্মীকে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন সোমবার থেকে ৭০ শতাংশ হাজিরা থাকবে সরকারি দফতগুলিতে। কিন্তু কলকাতা পুরসভা ১০০ শতাংশ হাজিরার নির্দেশিকা জারি করে দেয়। পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম জানান, অনেক দিন ধরে পুরসভা বন্ধ। এবার মানুষকে পরিষেবা দিতে হবে। সেই মতো সোমবার সকালে শহর ও শহরতলি থেকে পুরসভায় ছোটেন কর্মীরা। ট্রেন বন্ধ। তাই বাসই ভরসা। তাও আবার চলছে হাতে গোনা। এরই মধ্যে কেউ বাসে, কেউ শেয়ার ট্যাক্সি ভাড়া করে, কেউ আবার মোটরসাইকেলে পৌঁছেছেন পুরসভায়। বাসে করে পৌঁছেছেন এমন এক কর্মী জানালেন, ‘দীর্ঘ অপেক্ষার পর বাস পেয়েছি। তাতে যথেষ্ট ভিড় ছিল। ফলে সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং মানা সম্ভব হয়নি।’ পুরসভায় শেয়ার ট্যাক্সিতেও ঢুকতে দেখা যায় অনেককে। অধিকাংশ ট্যাক্সিতেই চালকসহ ৫ জন। পিছনের আসনে বসেছেন ৩ জন যাত্রী। ফলে সেখানেও শিকেয় উঠেছে সামাজিক দূরত্বের বিধি। যাত্রীদের দাবি, এছাড়া উপায় নেই। সংক্রমণ রুখতে পুরসভার প্রধান কার্যালয়ের প্রতিটি গেটে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও থার্মাল স্ক্যানার রাখা হয়েছে। হাত স্যানিটাইজ করে দেহের তাপমাত্রা দেখে তবে কর্মীদের ঢোকানো হচ্ছে ভিতরে। ওদিকে বার্থ ও ডেথ সার্টিফিকেটের দাবিতে এদিন পুরসভার সামনে বিক্ষোভ দেখান একদল মানুষ। তাদের দাবি, বার্থ ও ডেথ সার্টিফিকেটের দাবিতে দীর্ঘদিন তাদের ঘোরাচ্ছে পুরসভা। এদিন ১০০ শতাংশ হাজির থাকবে জেনে এসেও ফিরতে হচ্ছে খালি হাতে। পুরসভার কর্মীরা না কি জানিয়েছেন, হাজিরার নির্দেশিকা থাকলেও কাজ করার নির্দেশিকা পাননি।