দাদা করোনা সংক্রমণে মারা গিয়েছেন ভেবে তাঁর দেহ আগলে রেখে বসেছিলেন আলিপুর বডিগার্ড লাইনের ক্যান্টিনকর্মী আশিস সিংহ। বুধবার সন্ধ্যায় ঘটনা জানাজানি হওয়ার পরে চাঞ্চল্য ছড়ায়।কলকাতা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি কনটেইনমেন্ট জোন ঘোষিত হওয়ার পরে ওই ক্যান্টিন সিল করে দেওয়া হয়। কিন্তু লকডাউনের জেরে বাড়ি ফিরতে পারেননি আদতে বাঁকুড়ার বাসিন্দা দুই ভাই সমীর সিংহ ও আশিস সিংহ। মঙ্গলবার রাতে আচমকা মারা যান বছর সাতচল্লিশের সমীর সিংহ। তাঁর ভাই আশিসের ধারণা হয়, করোনা সংক্রমণেই দাদার মৃত্যু হয়েছে। জেরায় তিনি জানিয়েছেন, মৃত্যুর আগে জ্বর ও সর্দিতে ভুগছিলেন সমীর। সোমবার স্থানীয় ধোবিপুকুরে এক বহিরাগত হাসপাতালের সাফাইকর্মীর সঙ্গে সমীরের দেখা হয়েছিল। ওই ব্যক্তি পরে করোনা পজিটিভ পরীক্ষিত হলে গোটা এলাকা কন্টেইনমেন্ট জোন ঘোষিত হয়। মঙ্গলবার রাতে তাই সমীর মারা গেলে আশিসের বিশ্বাস হয় যে দাদা করোনাতেই মারা গিয়েছেন। দাদার সংস্পর্শে এসে তাঁর দেহেও সংক্রমণ ঘটেছে বলেও আশিস বিশ্বাস করেন এবং তাই দাদার দেহ সৎকারের জন্য ঘর থেকে বের করেননি। বুধবার পচা গন্ধ পেয়ে বডিবার্ড লাইন্সের পুলিশকর্মীরা খোঁজ শুরু করলে বন্ধ ক্যান্টিনের ভিতরে সমীরের দেহ ও আশিসকে তাঁরা দেখতে পান। ময়না তদন্তে সমীরের মৃত্যু সেরিব্রাল অ্যাটাকে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে হয়েচে বলে জানা গিয়েছে। এ ভাবেই জানা যায় যে অমূলক আশঙ্কার জেরে দাদার দেহ আগলে বসেছিলেন আশিস। আশিস তবু নিজের করোনা সংক্রমণের কথা জোর দিয়ে বলতে থাকলে তাঁকে প্রথমে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় তাঁর দেহে কোনও উপসর্গ দেখা না দেওয়ায় এবং সমীরের মৃত্যুর কারণ জানার পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।