কলকাতার লাইফলাইন হল মেট্রো। যানজট এড়িয়ে দ্রুত গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে গেলে মহানগরে মেট্রোর কোনও বিকল্প নেই। আর সেই কারণে প্রতিদিন প্রচুর সংখ্যক মানুষ দ্রুত গন্তব্যস্থলে পৌঁছানোর জন্য মেট্রোকে বেছে নেন। যাত্রীদের সুবিধার্থে মেট্রো রুট বাড়িয়েছে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু, এর ফলে যাত্রীদের যাত্রীদের হয়রানি আরও বাড়ছে। ꦕনির্দিষ্ট সময়ে মিলছে না মেট্রো। আর এই সমস্যা বেশি দেখা দিচ্ছে রাতের দিকে। এর ফলে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা। গত কয়েক মাস ধরেই এই সমস্য🍌া হচ্ছে বলে অভিযোগ যাত্রীদের। এই পরিস্থিতিতে অনেকেই রাতের দিকে মেট্রোয় উঠতে ভরসা পাচ্ছেন না।
আরও পড়ুন: বিমানবন্দর মেট্রোর গঠনগত নির্মাণ শেষ, না♉ম কী? কবে চালু? কেমন দেখতে? সবটা𝓰 জানুন
অন্যান্য যানবাহন দেরিতে চললেও মেট্রো নিয়ে মহানগরবাসীর গর্ব রয়েছে। কারণ মেট্রো বরাবরই নির্দিষ্ট সময়ে চলে থাকে। কিন্তু সম্প্রতি রাতের দিকে দমদম থেকে কবি সুভাষ রুটে মেট্রো দেরিতে চলছে বলে অভিযোগ যাত্রীদের। সাধারণত এ🍒ই রুটে রাত ৯'টার পর ১০ মিনিট পর পর মেট্রো চলার কথা। কিন্তু, সেই সময় পর পর মেট্রো পাওয়া যাচ্ছে না বলেই অভিযোগ করেছেন যাত্রীদের একাংশ। যাত্রীদের অভিযোগ, গত কয়েক মাস ধরে রাতের দিকে ট্রেন সময়ে চলছে না। প্রতিদিন অফিস থেকে বেরিয়ে রাতের দিকে মেট্রো পেতে গিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে যাত্🐬রীদের। এর ফলে মেট্রো থেকে দমদম স্টেশনে নেমে অনেকেই ট্রেন পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ।
কী কারণে মেট্রোয় এই সমস্যা হচ্ছে? সে প্রসঙ্গে এক আধিকারিক জানিয়েছেন, কলকাতায় একাধিক নতুন রুট চালু হয়েছে মেট্রোর। এর ফলে বেশি সংখ্যক মানুষ মেট্রোয় ওঠার সুযোগ পাচ্ছেন ঠিকই। কিন্তু সেখানেই হয়েছে বিপত্তি। কারণ নতুন রুটে মেট্রো চালানোর জন্য নতুন করে কর্মী নিয়োগ করা হয়নি। পুরনো কর্মীদের দিয়েই কাজ চলছে। এর ফলে মেট্রো চালানোর জন্য পর্যাপ্ত কর্মীসংখ্যার অভাব তৈরি হয়েছে। মেট্রো সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে মেট্রোয় যে সংখ্যক মোটর ম্যান থাকার প্রয়োজন তার থেকে ১৪৫ জন কম রয়েছে। এছাড়া মেট্রো পরিচালনা এবং রক্ষণাবেক্ষণ বিভাগে এখনও ৩০০ টি শূন্য পদ রয়েছে। পরের বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে ৪৩ জন মোটরম্যান অবসর নেওয়ার কথা রয়েছে। সেই কারণে নির্দিষ্ট সময়ে মেট্রো চালানো সম্ভব হচ্ছে না। আবার একাংশের মতে, কবি সুভাষ থেকে ক্ষুদিরাম পর্যন্ত অংশে গত কয়েক মাস ধরে চলছে রক্ষণাবেক্ষণের 🐼কাজ। সেই কারণে ধীর গতিতে মেট্রো চলছে। এরফলে সময়ানুবর্তিতা বজায় রাখা সম্ভব হচ্ছে না।