কোভিড পরিস্থিতিতে মন্দা♔র ধাক্কা সামলে ভাড়া বহির্ভূত আয় বাড়ানোর উপর জোর দিয়েছিল কলকাতা মেট্রো। এর জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়। ক্রমাগত সেই আয় বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমনটাই বলছে মেট্রোর পরিসংখ্যান। চলতি বছরের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রায় কলকাতা মেট্রো টিকিট বহির্ভূত আয় করেছে ১৯ কোটি ৫৭ লক্ষ টাকা। শতাংশের হিসেবে এই আয় গত বছরের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে ৩৪.২২ শতাংশ। ২০২৩ সালের ১ এপ্রিল থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই আয় বেড়েছে বলে মেট্রো সূত্রে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: চন্দ্রযানের ধাঁচে🥃 তৈജরি হল মেট্রোর নয়া টোকেন, টিকিট কাউন্টার থেকেই পাবেন যাত্রীরা
মেট্রো সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর পর্যন্ত কলকাতা মেট্রোয় এই সময়ে ভাড়া বহির্ভূত আয় হয়েছিল ১৪ কোটি ৫৮ লক্ষ টাকা। সেই জায়গায় এ বছর কলকাতা মেট্রোর আয় উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। যা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই হাসি ফুটেছে মেট্রো কর্তৃপক্ষের মুখে। উল্লেখ্য, টিকিট বহির্ভূত আয় বৃদ্ধির জন্য গত কয়েক বছর ধরে চেষ্টা চালাচ্ছে কলকাতা মেট্রো। তার জন্য একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হয়। রেলওয়ে ব্যবস্থাকে ꧟আরও স্বাবলম্বী এবং আর্থিকভাবে শক্তিশালী করার জন্য বিজ্ঞাপনী আয় বাড়ানোর ওপরꦺ জোর দিয়েছিল কলকাতা মেট্রো। যার মধ্যে স্টেশনগুলির ডাস্টবিনগুলিতে বিজ্ঞাপন, মেট্রোর রেকের ভিতরে এবং বাইরে বিজ্ঞাপন, খোলা জায়গায় বিভিন্ন সংস্থার হোর্ডিং এবং বিভিন্ন স্টেশনে স্বাস্থ্য পরীক্ষা কিয়স্ক স্থাপন করা।
এছাডඣ়াও, মেট্রোর উত্তর-দক্ষিণ এবং পূর্ব-পশ্চিম করিডোর বরাবর ৩৪টি স্টেশনে বিজ্ঞাপন এবং ২০৪টি ডাস্ট বিনে বিজ্ঞাপন দেওয়ার ফলে মেট্রোর আয় বেড়েছে।&nbs🔯p;
এছাড়াও, কার্ড ব্যালেন্স চেকিং টার্মিনালে বিজ্ঞাপন, স্বয়ংক্রিয় স্মার্ট কার্ড রিচার্জ মেশিন বিজ্ঞাপন, স্বয়ংক্রিয় টোকেন সংগ্রহ দরজায় বিজ্ঞাপন এবং ফ্ল্যাপগুলিতে বিজ্ঞাপন মেট্রোর আয় বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তাছাড়াও মেট্রোর ভিতরে ডিজিটাল ডিসপ্লে স্ক্রিন যাত্রী♏দের যাত্রীদের যেমন মেট্রোর সফরে বিনোদন দেয় তেমনি মেট্রোর আয়ও হয়। ক্রমবর্ধমান প্রভাব রাজস্ব বৃদ্ধি কলকাতা মেট্রোকে নতুনꦐ উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন, মেট্রোর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র।
উল্লেখ্য, যাত্রী ভাড়া বাদে মেট্রোর আয় ৪৫.৫৭ শতাংশ বেড়েছিল গত এপ্রিল থেকে অগস্টে। বিগত অর্থবর্ষে এই সময়কালে যাত্রী ভাড়া বাদে অন্যান্য খাতে মেট্রো রেলের আয় 🤪ছিল ১১.২১ কোটি টাকা। এবছর তা বেড়ে হয়েছে ১৬.৪৩ কোটি টাকা। এই আয় বৃদ্ধির অন্যতম কারণ অবশ্য স্টেশনের নাম ভাড়া দেওয়ার বিষয়টি। তবে ভবিষ্যতে যে সব মেট্রো স্টেশন তৈরি হবে, তার নামগুলি মনীষীদের নামে হওয়ায় এখন উপার্জনের বিকল্প পথ খুঁজতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে।