কলকাতায় বর্ষবরণের রাতে যতই কড়া নিরাপত্তা ꦰরাখা হোক আইন ভাঙার ঘটনা কিন্তু ঘটেছেই। একদিকে 𒊎শহরের রাস্তায় দাপিয়ে বেড়াল মোটরবাইক। অন্যদিকে মদ্যপদের তাণ্ডব থেকে পুলিশ আক্রান্ত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। হেলমেট অনেকের মাথায় ছিল না। তার উপর বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে ধাক্কা দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এই পরিস্থিতিতে শনিবার আইন ভেঙে কলকাতা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হল ৫৪০ জন। যা বড়দিনের রাতকেও ছাপিয়ে গেল। বড়দিনে কলকাতার রাস্তায় ট্রাফিক আইন ভাঙায় গ্রেফতার হয়েছিলেন ৩১৪ জন।
ঠিক কী করল পুলিশ? পুলিশ সূত্রে খবর, ৩১ ডিসেম্বর রাস্তায় ট্রাফিক আইন অমান্য করেছেন মোট ৬৬৪ জন। তাঁদের মধ্যে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালিয়ে জরিমানার কোপে পড়েছেন ১৮৭ জন। মদ্যপান করে গাড়ি চালানোর অভিযোগ উঠেছে। আর এভাবে আইন ভেঙেছেন ১৭৯ জন। এমনকী ১৪৮ জন মাথায় হেলমেট না পরেই মোটরবাইক চালিয়েছেন। ৯৫ জন মাথায় হেলমেট না পরে মোটরবাইকে সফর করে আইন ভেঙেছ⛦েন। আরও নানাভাবে ট্রাফিক আইন ভেঙেছেন ৫৫ জন।
কী তথ্য উঠে এসেছিল বড়দিনে? কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, ২৫ ডিসেম্বরও আইন ভাঙার কাজ ঘটেছে। বড়দিনে ট্রাফিক আইন ভেঙে পুলিশের🃏 জালে প💙ড়েছিলেন ৩২৩ জন। তাঁদের মধ্যে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালিয়ে আইন ভেঙেছিলেন ৮৪ জন। মদ্যপান করে গাড়ি চালিয়ে আইন ভেঙেছিলেন ৭৮ জন। হেলমেট না൲ পরে মোটরবাইক চালানোর সংখ্যা ছিল ৪৫ জন। আর ৫৭ জন হেলমেট না পরে মোটরবাইকের পিছনে বসে যাচ্ছিলেন।
আর কী জানা যাচ্ছে? বর্ষবরণের দিনই ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল দু’জনের। রবিবার ভোর ৫টা নাগাদ পূর্ব বর্ধমান জেলার কালনার বাইগাছি এলাকার ঘটনা। মৃতরা হলেন অমিত মন্ডল (২৬) এবং রাজ দাস (১৭)। দু’জনেরই বাড়ি কালনার বারুইপাড়া এলাকায়। গুড়াপ এলাকায় একটি ধাবাতে চা খা🍃ওয়ার জন্য দু‘জন মোটরবাইকে চেপে যাচ্ছিলেন। তখন ভোরের কুয়াশা এবং তার সঙ্গে মোটরবাইক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ধারে থাকা ফলকের পোলে ধাক্কা মারে। রাস্তার ধারের একটি জমিতে পড়ে যান তাঁরা। ঘটনাস্থলেই মারা যান তাঁরা। এরপরই ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ উদ্ধার করে কালনা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।