শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে সম্প্রতি তোলপাড় হয়েছে রাজ্য রা𒁃জনীতি। তারপরেই বিভিন্ন দফতরে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে। এবার কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রকে চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষ-লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠল। মন্ত্রকে নিয়োগের জন্য জাল নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল। এই অভিযোগে তরুণ বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ধৃত ব্যক্তি নিজেকে কৃষি মন্ত্রকের কর্তা বলে পরিচয় দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: চাকরির নামে দলীয় নেতা কর্মীদের থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ TMC নেতার বিꦇরুদ্ধে
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বেলেঘাটার এক বাসিন্দার সঙ্গে কাছ থেকে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা প্রতারণা করেছিলেন ওই ব্যক্তি। বেলেঘাটার ওই বাসিন্দার সঙ্গে পাঁচ বছর আ🅰গে পরিচয় হয়েছিল ধৃতের। অভিযুক্ত ব্যক্তিও বেলেঘাটার বাসিন্দা। সেই সূত্রেই তাঁদের আলাপ। অভিযোগ, নিজেকে কৃষি মন্ত্রকের একজন কর্তা বলে পরিচয়꧋ দিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। তাছাড়া নিজের প্রভাব কাটিয়ে তিনি চাকরির ব্যবস্থা করে দিতে পারবেন বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
প্রতারিত ব্যক্তির দাবি, সেই কাজের জন্য ৩০ লক্ষ টাকা দাবি করেছিলেন প্রতারক। অন্যদিকে, প্রতারিত ব্যক্তি জানিয়ে দেন তাঁর পক্ষে এত টাকা দেওয়া সম্ভব নয়। শ✤েষে প্রতারক ওই ব্যক্তিকে বাইপাসের কাছে ডেকে পাঠান। সেখানে দর কষাকষি চলে। শেষপর্যন্ত ১৬ লক্ষ টাকায় রফা হয়। এরপর অভিযুক্ত ওই ব্যক্তিকে জানান তাঁকে কথা বলার জন্য দিল্লিতে কৃষি মন্ত্রকের অফিসে যেতে হবে। তবে তার আগে অগ্রিম কিছু টাকা দিতে হবে।
প্রতারকের কথা সরল মনে বিশ্বাস করে নেন ওই ব্যক্তি। সেই মতোꦓ ধর্মতলার একটি জায়গায় প্রতারককে ১০ লক্ষ টাকা অগ্রিম বাবদ দেন বেলেঘাটার ওই ব্যক্তি। সেখানে প্রতারক তাঁকে জানান, এই টাকা দেওয়ার পর তাঁকে নিয়োগপত্র দেওয়া হবে এবং বাকি টাকা চাকরিতে যোগদানের পর দিতে হবে। কিছুদিনের মধ্যেই একটি নিয়োগপত্র দেয় প্রতারক। তবে সেটি যে জাল ছিল, তা বুঝতে পারেনন๊ি ওই ব্যক্তি। তাঁর মেয়ে কয়েকদিনের মধ্যেই দিল্লিতে কৃষি মন্ত্রকের অফিসে কাজে যোগ দিতে গিয়ে জানতে পারেন তাঁর নিয়োগপত্রটি জাল।
ফলে বাধ্য হয়ে কলকাতায় ফিরে আসতে হয় তাঁকে। এরপর কলকাতায় ফিরে এসে ওই📖 ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তিনি এড়িয়ে যান। শেষে চাকরি প্রার্থীর বাবা কলকাতার হেয়ার স্ট্রিট থানায় অভিযোগ জানান। অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে পুলিশ। শেষে শনিবার রাতে বেহালায় বেলেঘাটার রাজেন্দ্রলাল মিত্র রোডের বাড়ি থেকে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেন গোয়েন্দারা। তাঁকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে ৭ জুলাই পর্যন্ত তাঁর পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। অভিযুক্ত আরও কোনও ব্যক্তির সঙ্গে প্রতারণা করেছেন কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।