রাজ্যের বিরোধী দলনেতাꦿ শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে নগর দায়রা আদালতে আবেদন করলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। নগর দায়রা আদালতের প্রধান বিচারকের বেঞ্চে সেই আবেদন জমা করা হয়েছে। বিনীত গোয়েলের হয়ে আবেদন দাখিল করেছে রাজ্য। শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে করা ক্রিমিনাল ডিফেমেশনের মামলা গ্রহণের জন্য শুনানꦡি শেষ হয়েছে। নগর দায়রা আদালতের মুখ্য বিচারক মামলা গ্রহণ করা হচ্ছে কিনা সেই রায় দেননি এখনও।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? গত ১৬ এপ্রিল একটি টুইট করেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে একটি বাসের ছবি দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী লেখেন, ‘বিনীত গোয়েলের পুলিশ পাহারা দিয়ে এই বাসটি পটুয়াপাড়া থেকে বের করেছে। মনে হয় এই বাসটিতে টাকা রয়েছে। আমি সিবিআই–ইডিকে অনুরোধ করব এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করতে।’ গত ১৭ এপ্রিল শুভেন্দু অধিকারী মহারাষ্ট্রের প൩্লেট লাগানো একটি বাসের ছবি টুইট করেন। কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে সেখানে ট্যাগ করে প্রশ্ন তোলেন, ‘কলকাতা পুলিশের কর্মীরা সেই বাসটিকে এসকর্ট করে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে পটুয়াপাডা থেকে?’
তারপর ঠিক কী ঘটল? শুভেন্দু অধিকারীর টুইটের পর তদন্ত করে বিষয়টি দেখে কলকাতা পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে আবেদনে জানানো হয়েছে, গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হয়েছে। পুলিশের দাবি, বিরোধী দলনেতা যে অভিযোগ করেছেন সেটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। পুলিশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্যই এই ধরনের অভিযোগ করা হয়েছে। 🅷টুইটে বিরোধী দলনেতা লেখেন, ‘কয়লা, নিয়োগ দুর্নীতির টাকা, নথি হয়তো কারও অফিস থেকে পাচার করা হচ্ছে’। ওই টুইটের জেরে সংশ্লিষ্ট এলাকার ডিসিকে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলেন পুলিশ কমিশনার। ডিসি তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে বলেন ওসি কালীঘাটকে।
কী উঠে এল রিপোর্টে? ডিসি তদন্ত করে রিপোর্টে জানান, সংশ্লিষ্ট বাসটি একটি রাজনৈতিক কর্মসূচির জন্য আনা হয়েছিল। ১৬ তারিখ রাত থেকে ১২১ কালিঘাট রোডেই বাসটি রাখা রয়েছে। তাই সেটাকে এসকর্ট করে নিয়ে যাওয়া–আসার কোনও প্রশ্নই নেই। এমনকী কোনও পুলিশ কর্মী এবং পুলিশের কোনও গাড়িই সেই কাজে ব্যবহার করা হয়নি। অর্থাৎ এসকর্ট করা হয়নি। যে পুলিশকর্মীরা সেখানে ছিলেন তাঁরা জেড–প্লাস নিরাপত্তার দায়িত্বে রাতের ডিউটি করছিলেন। ট্র্যাফিক ম্যানেজমেন্টের কাজ করেছিলেন তাঁরা। গাড়িটিকে এসকর্ট করার তথ্যও অসত্য। এমনকী♊ সিসিটিভি ফুটেজও সংগ্রহ করা হয়েছিল। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় পেয়েও তথ্য যাচাই করেননি। তাই কলকাতা পুলিশ কমিশনার এবং পুলিশ বাহিনীকে অবমাননার জন্য টুইটটি করা হয়েছিল বলে ধরা হচ্ছে। এই কারণে বিনীত গোয়েলের হয়ে রাজ্যের পক্ষ থেকে ক্রিমিন্যাল ডিফেমেশনের মামলা দায়ের করা হচ্ছে।