𒀰 কলকাতা পুলিশের অধীনে আসতে চলেছে ভাঙড়। তাতে সংযোজন হতে চলেছে আরও ৯টি থানা এবং একটি ট্রাফিক গার্ড। মূলত আইন শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য ভাঙড়কে কলকাতা পুলিশের অধীনে আনা হয়েছে। তাই সেখানে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাইছে লালবাজার। এরজন্য সিসিটিভি এবং বডি ক্যামেরার পর এবার ভাঙড় ডিভিশনের পুলিশ কর্মীদের জন্য বিশেষ ধরনের হেলমেটের বরাত দিয়েছে লালবাজার। সবমিলিয়ে ২,৫০০ টি হেলমেট কেনা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ভাঙড়ে ৩ থেকে বেড়ে থানা 🐈হচ্ছে ৯টি, দেখে নিন তালিকা
নতুন এই হেলমেটগুলি খুবই মজবুত হতে চলেছে। ইট এবং লাঠির আঘাতে যাতে হেলমেটগুলি না ভেঙে যায় সেই বিষয়টির উপর নজর দেওয়া হচ্ছে। হেলমেটের সামনের দিকের অংশে থাকছে ফাইবার গ্লাস। তাছাড়া, ঘার ও কানের কাছে থাকছে বিশেষ ব্যবস্থা। এই হেলমেটের ওজন প্রায় দেড় কিলো। দৌড়াদৌড়ি করার সময় যাতে হেলমেট খুলে না যায় তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা থাকছে। হেলমেটগুলি হল জলপাই এবং সবুজ রঙের। এর জন্য মোট ৩০ লক্ষ টাকা খরচ ধার্য করা হয়েছে।প🍒ুলিশের আধিকারিকরা দাবি করেছেন, কলকাতা পুলিশ বাহিনীর নিরাপত্তার উপর নজর দিয়ে থাকে। সেই কারণেই এই উদ্যোগ। পুলিশ কর্মীদের মতে, নিরাপত্তা নিশ্চিত থাকলে সেক্ষেত্রে যেকোনও অভিযানে বেরোনোর ক্ষেত্রে মনোবল পাওয়া যায়।
প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোটের সময় ব্যাপক অশান্তি ছড়িয়ে ছিল ভাঙড়ে। বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছিল। তারপরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভাঙড়কে কলকাতাꦆ পুলিশের অধীনে আনার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেইমতো ভাঙড়কে কলকাতা পুলিশের অধীনে আনার জন্য তোরজোর শুরু হয়ে গিয়েছে। সেখানে আটটি থানায় ১৭৫ জন করে থাকবেন পুলিশ কর্মী। ইতিমধ্যেই ভাঙড়কে বোমামুক্ত করার পরিকল্পনা শুরু করেছে লালবাজার। ভাঙড় এবং কাশিপুর এলাকায় বোমাবাজিতে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অনেকে। লালবাজারের আধিকারিকদের দাবি, ভাঙড় এবং কাশিপুরের মতো এলাকায় বোমা তৈরির কারখানা রয়েছে। তাই কোথায় কোথায় বোমা তৈরি হয় তার তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। দায়িত্ব পেলেই পদক্ষেপ করা হবে।