ভুয়ো IAS দেবাঞ্জনকাণ্ডের তদন্তে আরও বেশ কিছু বিস্ফোরক তথ্য জানাল SIT. তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ১০টি ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে অন্তত ৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে সে। সঙ্গে দেবাঞ্জনের কসবার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে বিএসএফের একটি উর্দি। যাতে গোয়েন্দাদের অনুমান, বিএসএফ আধিকারিক সেজেও প্রতারণা করত সে।কলকাতা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতা পুরসভা ছাড়াও পুরসভার আর্বান প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট শাখার নামে ৭টি ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলেছিল দেবাঞ্জন। সেগুলির মাধ্যমে গত ৬ বছরে অন্তত ২.৮০ কোটি টাকা সরিয়ছে সে। সেই টাকা কোথায় গেল তা জানতে ব্যাঙ্কের সাহায্য চেয়েছেন তদন্তকারীরা।দেবাঞ্জনের মাদুরদহের বাড়িতে তল্লাশিতে বিএসএফের উর্দি মিলেছে। যাতে লেখা রয়েছে দেবাঞ্জনের নামও। গোয়েন্দাদের অনুমান কলকাতা পুরসভার জয়েন্ট কমিশনার ছাড়াও নিজেকে বিএসএফ আধিকারিক বলেও প্রতারণা চালাতেন দেবাঞ্জন। সেব্যাপারে আরও জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন তাঁরা। ওই উর্দি কী করে প্রতারকের হাতে এল তা জানতে বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে কলকাতা পুলিশ।ওদিকে দেবাঞ্জনের মেল আইডিতেও জমা রয়েছে অনেক রহস্য। সেই রহস্য ভেদ করতে গুগলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা।